কী জানা যাচ্ছে?
২০২০ তে কলেজ সার্ভিস কমিশনের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ২০২৩ সালে প্যানেল প্রকাশিত হয়। সেখানে শুধু নাম ও রেজিষ্ট্রেশন নম্বর প্রকাশিত হলেও নম্বর প্রকাশিত হয় নি। মামলাকারীর মোনালিসা ঘোষের দাবি ছিল, স্বচ্ছতা আনতে প্যানেলে নম্বর প্রকাশ করতে হবে। সেই মামলায় হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে গেল রাজ্য।
কমিশন কী জানিয়েছিল?
এই মামলার গত শুনানির দিন কমিশনের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, প্রাপ্ত নম্বর, গবেষণা পত্র সহ বেশ কিছু দেখেই প্যানেলে নাম ওঠে। সেই ভাবেই প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে। পালটা বিচারপতি জানান, নম্বর প্রকাশ করলে অসুবিধা কোথায়? কলেজ সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের দীপক করের উদ্দেশে বিচারপতি জানান, ‘ ওঁকে মনে করিয়ে দেবেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য এখন জেলে আছেন।’
কলেজ সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ
২০২০ সালে কলেজ সার্ভিস কমিশন নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। ২০২৩ সালে প্রার্থীদের প্যানেল প্রকাশ করা হয়। কিন্তু প্যানেলে প্রার্থী নাম ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর থাকলেও, প্রার্থীদের প্রাপ্ত নম্বরের উল্লেখ নেই বলে অভিযোগ তোলেন এক পরীক্ষার্থী। মামলাকারীর দাবি ছিল, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে নির্ধারিত প্যানেলে নম্বরও প্রকাশ করতে হবে। গত সেপ্টেম্বর মাসে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এজলাসে মামলাটির শুনানি ছিল। সেদিন বিচারপতি বলেন, ‘চেয়ারম্যান নিজে কটি পেপার (গবেষণা পত্র) জমা দিয়েছেন।’ নম্বর বের করলে অসুবিধা কোথায় বলে জানতে চান তিনি।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের পর কলেজ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগের মুখে পড়তে হয় রাজ্যকে। কলেজ সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগে কি গরমিল রয়েছে? পরীক্ষার্থীদের একাংশের তরফে সেই প্রশ্ন তোলা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় হলফনামা জমা দিতে বললেও সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার ডিভিশন বেঞ্চে দ্বারস্থ হল রাজ্য। এই সপ্তাহেই ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রতি মুহূর্তে খবর জানতে জয়েন করুন এই সময় ডিজিটাল হোয়াটস্যাপ চ্যানেল। ক্লিক: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A