এই সময়: প্রতারণার কৌশল নতুন কিছু নয়, তবে প্রতারকের শখ একেবারে অভিনব এবং শৌখিন! ইউএসএ-র সাইবার প্রতারণার মামলায় মঙ্গলবার কলকাতার বেনিয়াপুকুরের হানা দিয়েছিলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। অভিযুক্ত দানিশ আহমেদকে গ্রেপ্তার করতে গিয়ে তজ্জাব হয়ে যান তদন্তকারী অফিসারেরা। তাঁরা দেখেন, বাড়িতে নামী ব্র্যান্ডের বহুমূল্য হাতঘড়ি, কমপক্ষে এক ডজন। সাধারণত নামী ফিল্মস্টারদের হাতে এমন ঘড়ি দেখা যায়। একটি টক শো-তে অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা বলেছিলেন, সুযোগ পেলে তিনি শাহরুখ খানের ঘড়ির কালেকশন চুরি করে নেবেন! আর তেমনই সব রিস্ট ওয়াচের কালেকশন কি না, বেনিয়াপুকুরের প্রতারকের ঘরে। শুধু ঘড়ির শখই নয়। টাকা হাতিয়ে ক্রিপ্টো কারেন্সিতেও বিনিয়োগ করতেন দানিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে ইউএসএ-র নাগরিকদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলতেন দানিশ। বয়স মাত্র ২৯ বছর। নিজেকে অস্টিন পার্কার বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। পরিচয় ভাঁড়িয়ে ২০২১ থেকে ২০২২ সালের শেষ পর্যন্ত ইউএসএ-র নাগরিকদের বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়েছিলেন ওই যুবক। যে ভাবে কৌশলে গ্রাহকদের ফাঁদে ফেলা হয়েছিল, তাতে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করে এফবিআই। তাদের ‘টেকনিক্যাল ইন্টেলিজেন্স’ রিপোর্টে উঠে আসে, অস্টিন পার্কার নাম নিয়ে অন্য কেউ প্রতারণা করে চলেছে। এফবিআই-এর হাতে আসে একটি মোবাইলের আইপি অ্যাড্রেস। সেই সূত্রে তারা জানতে পারে, প্রতারক বসে রয়েছে ভারতে। পানাজি, গোয়া, কলকাতা, গুরগাঁও, হরিয়ানা থেকে টাকা তুলেছে প্রতারক। আরও জানা যায়, এই ঘটনার সঙ্গে কলকাতারও যোগ থাকতে পারে।
পুলিশ সূত্রে খবর, টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেওয়ার নাম করে ইউএসএ-র নাগরিকদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলতেন দানিশ। বয়স মাত্র ২৯ বছর। নিজেকে অস্টিন পার্কার বলে পরিচয় দিয়েছিলেন। পরিচয় ভাঁড়িয়ে ২০২১ থেকে ২০২২ সালের শেষ পর্যন্ত ইউএসএ-র নাগরিকদের বোকা বানিয়ে টাকা হাতিয়েছিলেন ওই যুবক। যে ভাবে কৌশলে গ্রাহকদের ফাঁদে ফেলা হয়েছিল, তাতে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করে এফবিআই। তাদের ‘টেকনিক্যাল ইন্টেলিজেন্স’ রিপোর্টে উঠে আসে, অস্টিন পার্কার নাম নিয়ে অন্য কেউ প্রতারণা করে চলেছে। এফবিআই-এর হাতে আসে একটি মোবাইলের আইপি অ্যাড্রেস। সেই সূত্রে তারা জানতে পারে, প্রতারক বসে রয়েছে ভারতে। পানাজি, গোয়া, কলকাতা, গুরগাঁও, হরিয়ানা থেকে টাকা তুলেছে প্রতারক। আরও জানা যায়, এই ঘটনার সঙ্গে কলকাতারও যোগ থাকতে পারে।
গত অগস্টে এফবিআই-এর সূত্রে ইন্টারপোলের মাধ্যমে কলকাতা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখার কাছে বিষয়টি জানানো হয়। লালবাজারের তদন্তকারীরা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তদন্তে নামে। জানা যায়, প্রতারক একটি সংস্থার কর্মী বলে পরিচয় দিয়েছিল।
কথার জাল বুনে গ্রাহকদের কম্পিউটার, মোবাইলের কন্ট্রোল নিয়ে নিত দানিশ। এদিন সকালে জানা যায়, বেনিয়াপুকুরের সার্কাস অ্যাভিনিউয়ে থাকে প্রতারক। এর পরই দলবল নিয়ে দানিশের বাড়িতে পৌঁছে যান তদন্তকারীরা। পুলিশের দাবি, তার বাড়ি থেকে ৫ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তা ছাড়া উদ্ধার হয় ১৩টি বহুমূল্যের হাতঘড়িও। এফবিআই যে ফোন নম্বরের সূত্রে তদন্ত করেছিল, সেই নম্বরের মোবাইলটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও জানা গিয়েছে, প্রতারক একটি চক্র চালান। বাকিদের খোঁজ চলছে।