এদিক এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়া পর্যটকদের জন্য নিজেদের হোটেলে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন এক বাঙালি ব্যবসায়ী। পর্যটকদের জন্য নিজের হোটেলে বিনামূল্যে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। বারাসতের ওই ব্যবসায়ীরা নাম চন্দন ঘোষ। সিকিমের গ্যাংটকে তাঁর লিজে নেওয়া হোটেল রয়েছে। বিপর্যয়ের খবর পেয়েই তাঁর হোটেলে আটকে পড়া পর্যটকদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত নেন চন্দন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মোবাইল নম্বরও পোস্ট করেন তিনি। সেই নম্বর দেখে অনেকেই যোগাযোগ করেন চন্দনের সঙ্গে। এই বিষয়ে চন্দন এক বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে জানান, ৪০ জনের জন্য ১২টি রুম রয়েছে, তবে সেখানে ৬০ জন অনায়াসেই থাকতে পারবেন। বিনামূল্যেই থাকতে দেওয়া হবে তাঁদের। খাবারের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হবে।
এক্ষেত্রে দিনেশ রায় নামে আরও এক ইউজার সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরণেরই একটি পোস্ট করেছেন। তিনি লেখেন, ‘গ্যাংটক বা তার আশেপাশে কেউ আটকে পড়লে, আমাদের গ্যাংটক হোটেলে থাকতে পারেন বিনামূল্য। ডিস্ট্রিক্ট কোর্টের কাছে আমাদের হোটেল। নিজের ভেবে কল করতে পারেন।’ যোগায়োগের ব্যক্তি হিসেবে চন্দন ঘোষের নাম দেওয়া হয়েছে সেই পোস্টে।
এদিকে এখনও বন্ধ এসএনটি-র বাস স্ট্যান্ড। ফলে পর্যটক ও স্থনীয়দের সমস্যা অব্যাহত। অন্যদিকে এই বিপর্যয়ের জেরে সিকিম যাওয়ার পথে এনজেপি স্টেশনে আটকে পড়েন কিছু শ্রমিক। তাঁরা সিকিমে দিনমজুরির কাজ করেন। আরপিএফ-এর তরফে তাঁদের খাবারদাবারের ব্যবস্থা করা হয়। অন্যদিকে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গে পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যপাল।
দার্জিলিংমুখী পর্যটকরা
সিকিমের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মন ভেঙে দিয়েছে পর্যটকদের। যাঁরা সিকিম যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই রওনা দিয়েছেন বা ২-১ দিনের মধ্যেই রওনা দেওয়ার কথা, তাঁদের মন ভারাক্রান্ত। এই পরিস্থিতি বিকল্প গন্তব্য হিসেবে অনেকেই বেছে নিচ্ছেন দার্জিলিংকে। ফলে চাহিদা বাড়তে শুরু করেছে দার্জিলিংয়ের হোটেল, লজ ও হোম স্টেগুলির। যদিও পার্শ্ববর্তী কালিম্পংয়ের রাস্তায় অবশ্য ধস নেমেছে। সেক্ষেত্রে কালিম্পংয় যেতে গেলে ঘুরে পথে যেতে হবে পর্যটকদের।
আরও সমস্ত খবরের জন্য এক্ষুণি ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল চ্যানেল। ক্লিক : https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A