বিধান সরকার: একজনের দেহ পড়েছিল ঘরের মেঝেতে। গলায় ফাঁস নিয়ে সিলিং ফ্য়ানে ঝুলছিলেন আর একজন। কীভাবে মৃত্যু? প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্যা করেছে স্বামী। উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের পর এবার হুগলির শ্রীরামপুর।
আরও পড়ুন: Teesta Flash Flood: ‘যদি দেহটা ভেসে আসে,’ বোনের অপেক্ষায় তিস্তায় ঠায় তাকিয়ে দাদা!
স্থানীয় সূত্রে খবর, শ্রীরামপুর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ছিলেন বিশ্বজিৎ দে ও তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যা। ওই দম্পতির দুই ছেলে। বড় ছেলে বিবাহিত। স্ত্রীকে নিয়ে আলাদা থাকেন তিনি। বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন ছোট ছেলে।
পরিবারে লোকেদের দাবি, বিশ্বজিৎ ও সন্ধ্যার মধ্যে প্রায় রোজই অশান্তি হত। মাঝেমধ্যে সেই অশান্তি এতটাই বেড়ে যেত যে, স্বামীকে ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যেতেন সন্ধ্য়া। বড় ছেলের শিবানী বলেন, ‘আমরা আলাদা থাকি। তবে রোজ এসে শ্বশুড়-শাশুড়িকে রান্না করে দিয়ে যাই। সকালে ফোন করেছিলাম, কিন্তু কেউ ধরেনি। স্বামীর বলল দেখি আসি’।
তারপর? ছোট ছেলে ততক্ষণে কাজ চলে গিয়েছে। ঘরে ঢুকে বড় ছেলে দেখেন, মেঝেতে পড়ে রয়েছেন সন্ধ্য়ার দেহ। আর গলায় ফাঁস নিয়ে ঝুলছেন বিশ্বজিৎ। খবর দেওয়া হয় শ্রীরামপুর থানায়। মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিস। এলাকায় চাঞ্চল্য।
ব্যবধান মাত্র ৪ দিনের। উত্তর ২৪ পরগনা খড়দহের পাতুলিয়া এলাকায় ঘরের মধ্য়েই পাওয়া গিয়েছে গৃহবধূর নলিকাটা রক্তাক্ত দেহ। পাশেই গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছিলেন তাঁর স্বামী। স্থানীয়দের দাবি, গত কয়েক দিন ধরেই ওই দম্পতির মধ্যে অশান্তি চলছিল। তাঁদের অনুমান, স্ত্রীকে খুন করে আত্মহত্য়া করেছে স্বামী।
আরও পড়ুন: Teesta River Flood: তিস্তার জলোচ্ছ্বাসে বিপন্ন টোটোগাঁও! সরিয়ে আনা হল অসংখ্য পরিবার…
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)