জানা গিয়েছে, এদিন সকালে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয় তিস্তা নদীর বাংলাদেশ অংশে। সেটি বাংলাদেশের থানেরহাট এলাকায়। নদীর এপারে ভারতের কুচলিবাড়ি সীমান্ত। পরে ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের মাধ্যমে সেই দেহ বিএসএফ-এর হাতে তুলে বিজিবি। তবে মৃতের পরিচয় জানা যায়নি। এরপর এদিন বিকেলে এক অজ্ঞাত পরিচয় মহিলার মৃতদেহ বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ পুলিশ ষ্টেশন এলাকায় উদ্ধার হয়। ওই এলাকাটি তিস্তার নিম্ন অববাহিকা। এছাড়া হলদিবাড়ির নিজতরফ চরে আরও এক পুরুষের মৃতদেহ উদ্ধার হয় বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ। মৃতদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
এলাকা পরিদর্শন জনপ্রতিনিধিদের
এদিকে তিস্তা নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় নদীর মাঝে গড়ে ওঠা চরের কয়েকশো বাসিন্দাকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্কুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে সেই ত্রাণ শিবিরে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূল নেতা তথা কোচবিহার পৌরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং স্থানীয় বিধায়ক পরেশ অধিকারী। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ জানান, চরে ১০৭ টি পরিবার রয়েছে। তাদেরকে উদ্ধার করে স্কুলে নিয়ে আসা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তিনি গিয়েছেন। আশ্রয় নেওয়া বাসিন্দাদের সব ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
পাশাপাশি মেখলিগঞ্জের বিধায়ক পরেশ অধিকারী বলেন, ‘নদীর জল কিছুটা কমে যাওয়ায়, বাসিন্দারা বাড়ি ফিরে যেতে চাইছেন। কিন্তু আমরা বলেছি আজকে তাঁদের এই শিবিরে থেকে যেতে। তাঁদের দু’বেলা খাবার দেওয়ার পাশাপাশি শুকনো খাবারও দেওয়া হয়েছে।’ অন্যদিকে ত্রাণশিবির নিয়ে তেমন কোনও অভিযোগ না থাকলেও বাসিন্দারা জানান, বন্যায় তাঁদের বাড়িঘরের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে, জল নেমে গেলে সেই সব সারানোর ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। তিস্তা নদীর জল নদী তীরবর্তী যে সমস্ত গ্রামে ঢুকেছে সেই সব এলাকায়ও ঘুরে দেখেন জনপ্রতিনিধিরা। প্রসঙ্গত সিকিমে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ও হরপা বানে জলস্তর ব্যাপক পরিমাণ বেড়েছে তিস্তা নদীতে। সঙ্গে উত্তরবঙ্গেও চলেছে একটানা বৃষ্টি। যার জেরে এখনও জলমগ্ন উত্তরবঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা।
প্লাবন পরিস্থিতির অন্যান্য খবরের জন্য ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল চ্যানেল। ক্লিক : https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A