Cyber Crime News : শ্বশুরের নাম মোটা ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে পগারপার! ইঞ্জিনিয়ার জামাইকে ধরল পুলিশ – bangaon man arrested by police in allegedly taking loan in father in laws name


রাজ্যে একের পর এক সাইবার প্রতারণার ঘটনা ঘটছে। এরমধ্যেই পুলিশের জালে এক তরুণ। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্বশুরের অভিযোগের ভিত্তিতে জামাইকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায়। সাইবার প্রতারণার বিভিন্ন অভিযোগের মধ্যে এই অভিনব ঘটনায় শুরু হয়ে চর্চা। ধৃতের নাম উজ্জ্বল কুমার দাস। ধৃত উজ্জ্বল সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাগদার বাসিন্দা উজ্জ্বলের সঙ্গে ২০১৮ সালে বিয়ে বহয় বনগাঁ খয়রামারির বাসিন্দা ললিত মজুমদারের মেয়ের। ২০২১ সালে উজ্জ্বলের স্ত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তারপর সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভেবে উজ্জ্বল শ্বশুরবাড়িতে থাকতে শুরু করে। নাতির মুখের দিকে তাকিয়ে এই নিয়ে আপত্তি করেননি তাঁর শ্বশুর।

Telegram Cyber Fraud : টেলিগ্রামে ‘ভয়ঙ্কর’ প্রতারণা, অ্যাকাউন্ট থেকে ‘হাপিস’ ২৮ লাখ! কলকাতায় ধৃত ২
এরপরই ঘটে বিপত্তি। শ্বশুরবাড়ির লোকজনের অভিযোগ, ২০২২ সালে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার জামাই শ্বশুরের সমস্ত তথ্য ব্যবহার করে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা ঋণ নেয়। ঋণের টাকা নিয়েই সে বেপাত্তা হয়ে যায়। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন উজ্জ্বলের শ্বশুর ললিত মজুমদার। আদালত মারফত অভিযোগ যায় বনগাঁ সাইবার থানায়। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিশ।

Sim Card Fraud : আধারের পর সিমকার্ডেও ঝুঁকি! বাংলায় হানা ভিন রাজ্যের পুলিশের, জালে ২
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে বুধবার রাতে কলকাকা ইকো স্পেস এলাকা থেকে অভিযুক্ত উজ্জ্বলরে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে বৃহস্পতিবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ১০ দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেছে আদালত। ধৃতকে জেরা করবেন সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ আধিকারিক।

রাজ্যের একের পর এক সাইবার প্রতারণার ঘটনা ঘটেই চলেছে। বুধবার টেলিগ্রাম প্রতারণার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে কলকাতা লেক থানা এলাকা থেকে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। ধৃতদের আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ধৃতদের জেরা করে এই প্রতারণার জড়িত বাকিদের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করছে পুলিশ।

Aadhaar Biometric Lock : বায়োমেট্রিক হাতিয়ে আর্থিক প্রতারণা, ‘হটস্পট’ কলকাতাকে বাঁচাতে অর্থ দফতরকে বার্তা পুলিশের
অন্যদিকের আধার প্রতারাণার ঘটনা রাজ্যে মাঝেমধ্যেই ঘটছে। আধার কার্ডে ব্যবহৃত বায়োমেট্রিক তথ্য ব্যবহার করে গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিচ্ছে প্রতারকরা। এমনকী জমি বা বাড়ির রেজিস্ট্রির সময় ব্যবহৃত হাতের আঙুলের ছাপও আর নিরাপদ নয়। এই অবস্থায় বায়োমেট্রিক নিয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে পুলিশ। m-aadhaar অ্যাপে গিয়ে তা লক করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *