জানা গিয়েছে, স্ত্রী রাখি দাসের সম্পর্কের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন স্বামী প্রবীর দাস (৪৫)। বাড়ির পাশেই পোল্ট্রি ফার্ম প্রবীরের। মঙ্গলবার রাতে সেই ফার্ম থেকে বেরোনোর সময়ে দু’জন দুষ্কৃতী খুব কাছ থেকে তাঁকে গুলি করে বলে জানা গিয়েছে। দ্রুত সুতি ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন প্রবীরকে। রাখি জগতাই পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্য। প্রবীরও এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
স্ত্রী ছাড়াও এক ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে সংসার ছিল তাঁর। এলাকারই যুবক সুমনের সঙ্গে প্রবীরের স্ত্রী রাখির সম্পর্ক তৈরি হয়। কিছুদিন আগে সুমনের সঙ্গে চলে গেলেও ক’দিন বাদে ফিরে আসেন রাখি। তারপরে প্রবীর-রাখির সংসার চলছিল ভালোই। এ সবের মধ্যেই প্রেমিক সুমন দু’জন সুপারি কিলার নিয়োগ করে। পুলিশ মঙ্গলবার রাতেই সুমনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এক সময়ে ভেঙে পড়ে খুনের কথা স্বীকার করে সে।
সেই সূত্রে দুই ভাড়াটে খুনিকেও ধরা হয়। নিহতের ভাইপো রাজেশ দাস বলেন, ‘ফোনে খবর পেয়ে আমি দ্রুত গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় কাকাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাই। কিন্তু বাঁচানো গেল না। খুনিদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা হোক।’ প্রবীরের ভাই সুশান্ত দাস বলেন, ‘বৌদির সঙ্গে এলাকারই এক যুবকের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। দাদা সেটা জেনে ফেলায় বাড়িতে অশান্তিও হয়। তার জেরেই দাদাকে খুন করা হয়েছে।’