প্রাক্তন পুর প্রধানের বাড়িতে ED হানা
বৃহস্পতিবার সাত সকালেই দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন পুর প্রধান পাচু রায়ের বাড়িতে উপস্থিত হন EDর তদন্তকারী আধিকারিকরা। পুর প্রধানের কথায়, বাড়িতে এসেই তদন্তকারী আধিকারিকদের দাবি ছিল, আপনার বাড়ির ভিতরটা আমরা একটু ঘুরে দেখব। এরপরই দক্ষিণ দমদম এর প্রাক্তন পুর প্রধান তাঁদেরকে বাড়ির ভেতরে নিয়ে যান। তিনি বাড়ির আলমারিগুলো খুলে দেন। আটটার মধ্যেই তাঁদের তল্লাশির কাজ শেষ হয়ে যায় বলে দাবি তাঁর।
কী বললেন প্রাক্তন পুর প্রধান?
তিনি জানান, আলমারি -বাড়ি থেকে তেমন কিছু পাননি ED আধিকারিকরা। তাঁর কথায়, শুধু আমার কাছে থাকা ২৫ হাজার টাকা পেয়েছে। এরপর আমাকে বেশ কয়েকটি প্রশ্ন করেন নিয়োগ দুর্নীতি বিষয়। কিন্তু তাদের কাজ অনেক আগেই সমাপ্ত হয়ে গিয়েছিল। ওঁরা আগেই চলে যেতে পারত। বেশ কিছুটা সময় এখানে কাটানোর ‘টার্গেট’ ছিল তাঁদের। এরপর রাত সাড়ে নটা নাগাদ তাঁরা বেরিয়ে যান।
সকালবেলা যখন ED-র তদন্তকারী আধিকারিকরা তার বাড়িতে তল্লাশি করেন তল্লাশি করতেও বেশি সময় লাগে নি। সকাল আটটা নাগাদই তল্লাশি শেষ হয়ে যায়। এক প্রকার বলা যায় বেশি সময় লাগেনি। ভেবেছিলাম তাড়াতাড়ি মিটে যাবে। আমার বয়সও জানতে চায়। বেশি সময় ধরে ‘টাইম কিল’ করার চেষ্টা করেছে।
বিজেপির গেমপ্ল্যান
ED-র তল্লাশির পেছনে বিজেপির গেমপ্ল্যান কাজ করছে বলে দাবি করেন তিনি। প্রাক্তন পুর প্রধান বলেন, ‘ওরা মনে হয় ঠিক করে এসেছিল অনেকক্ষণ থাকবে। মনে হয় কাউকে কথা দিয়ে এসেছে যে তাঁদের এতক্ষন থাকতে হবে। এর পিছনে কলকাঠি নাড়ছে বিজেপি, আমি নিঃসন্দেহ বলতে পারি।’
একাধিক জায়গায় EDর তল্লাশি
পুর নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত তদন্তে বৃহস্পতিবার রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়ি সহ আরও ১৫টি জায়গায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তল্লাশি চালায়। পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই প্রথম রাজ্যের কোনও মন্ত্রী এলেন ED-র স্ক্যানারের সামনে এল বলে জানা গিয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী ছাড়াও বরানগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক, কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা, টিটাগর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী ও দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান পাচু রায়ের বাড়িতে যান ED আধিকারিকরা।
সব খবর পেতে এই সময় ডিজিটাল হোয়াটস্যাপ চ্যানেল। ক্লিক: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A