Kamduni Case Verdict : ‘শয়তানগুলো বেঁচে গেল!’ রায় শুনে হাহাকার মৌসুমী-টুম্পার, অসুস্থ নির্যাতিতার ভাইও – relatives of kamduni case protest at high court area after hearing the verdict


কামদুনি ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় রায় শুনে হতাশায় ভেঙে পড়লেন কামদুনির মৌসুমী, টুম্পারা। বিচারপতিদের এজলাসে যাওয়ার পথে রাস্তার সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁরা। বন্ধুর ধর্ষণকারীদের শাস্তি হল না কেন? এই দাবি তুলে কান্নায় ভেঙে পড়েন সকলে।

Kamduni Case Verdict: কামদুনি গণধর্ষণ ও খুনে খারিজ ফাঁসি, পরিবর্তে আমৃত্য কারাদণ্ডের নির্দেশ ২ দোষীকে
কী জানা যাচ্ছে?

আজ, শুক্রবার কামদুনি ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় রায়দান হয় কলকাতা হাইকোর্টে। ২০১৩ সালের নৃশংস ঘটনায় ফাঁসির সাজা শুনিয়েছিল নিম্ন আদালত। কিন্তু হাইকোর্ট সাজা লঘু করে দেয়। কলকাতা হাইকোর্ট আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয় দোষী সাব্যস্তদের তিনজনকে। বাকিদের সাজা মকুব হয়। এই রায় শুনে ভেঙে পরে কামদুনি ধর্ষণ কাণ্ডের অত্যাচারিত মহিলার পরিজন, আত্মীয়রা।

Mousumi Koyal Kamduni: ‘কুন্তলের নামে মানহানির মামলা করব…মৌসুমী ভয় পায় না’, মুখ খুললেন কামদুনির প্রতিবাদী
রাস্তাতেই কান্না

বিচারপতিদের এজলাসে যাওয়ার পথে সামনেই ভেঙে পড়েন সকলে। এরকম রায় শোনার অপেক্ষায় ছিলেন না তাঁরা। অত্যাচারিত ধর্ষিত মহিলার জন্য এ কেমন বিচার হল? প্রশ্ন তুলতে থাকেন তাঁরা।

Kamduni Murder Case: ‘কবে হবে ফাঁসি’, ডিএমঞ্চে কামদুনির টুম্পা

সকলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁরা আওয়াজ তুলতে থাকেন, এহেন বিচার মেনে নেওয়া যায় না কোনওভাবেই। রাস্তার মধ্যে শুয়ে পড়ে এই রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানতে থাকেন তাঁরা।

রায় নিয়ে কী জানা যাচ্ছে?

শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ কামদুনি কাণ্ডের রায় ঘোষণা করে। জানানো হয়, ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত সইফুল আলি এবং আনসার আলির সাজা হিসেবে আমৃত্যু কারাদণ্ড ঘোষণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে, নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন জেলের সাজাপ্রাপ্ত ইমানুল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্করও ১০ বছর জেল খেটে ফেলেছেন। সেই কারণে তাদের খালাস করে দেওয়া হয় হাই কোর্ট থেকে।

কামদুনি কাণ্ড

২০১৩ সালের ৭ জুন কামদুনিতে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করার মতো নৃশংস ঘটনা ঘটে। উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে কলেজ থেকে ফেরার পথে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয় এরপর তাঁকে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। কামদুনি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। এরপর দোষীদের চরম সাজার দাবিতে পথে নেমে আন্দোলন শুরু করে কামদুনি গ্রাম। সেই আন্দোলনে গ্রামবাসীদের নেতৃত্ব দেন যাঁরা, মৌসুমী, টুম্পা সহ একাধিক গ্রামের মহিলারা। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর আজ, শুক্রবার কামদুনি কাণ্ডের রায় শোনাল কলকাতা হাইকোর্ট।

খবরের জন্য এই সময় ডিজিটাল হোয়াটস্যাপ চ্যানেল। ক্লিক: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *