পরিবার সূত্রে কী খবর?
ছোট থেকে খুব ভালো মেধাবী ছাত্র ছিল সাজিদ। স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। কলকাতার নিউ টাউনে মেসে থাকতো সাজিদ। সেখানেই ডাক্তারি পরীক্ষায় বসার জন্য কোচিং নিচ্ছিল। নিট পরীক্ষায় বসতো এইবার। ৪-৫ দিন হল মালদার বাড়ি থেকে সে কলকাতা গিয়েছিল। দুই-তিন দিন আগে সকালবেলা মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল টেলিফোনে। ফোন সাজিদ বলেছিল, ‘মা আমি কোচিং নিতে যাচ্ছি। কোচিন করে এসে তারপর রাতে তোমার সঙ্গে কথা বলব।’ এটাই শেষ কথা ছিল মায়ের সঙ্গে তার।
শিক্ষক পরিবার সাজিদের
বাবা মুক্তার হোসেন বিননগর হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক। চাকরি করতেন মা সামিনা খাতুন, তিনিও শিক্ষিকা। তাঁদের এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলেই বড় ছিল। বাড়ি কালিয়াচক থানার ১৬ মাইল এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাতে অচেনা নাম্বার থেকে সাজিদ হোসেনের বাবা মুক্তার হোসেন ফোন করা হয়। ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। তারপরে আজকের সকালের এই ঘটনা।
নিউটাউনে পড়ুয়া খুন
অপহরণ করে মুক্তিপণ না পেয়ে খুন করা হয়েছে সাজিদকে? অনুমান পুলিশের। নিউটাউন সেকেন্ড লেনের তারুলিয়াতে গৌতম নামের এক যুবকের ভাড়া বাড়ি থেকে হাত-পা বাঁধা মুখে সেলুটেপ সাঁটানো অবস্থায় একটি সুটকেশ-এর মধ্যে খাটের নিচ থেকে মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। গত চার তারিখ থেকে নিখোঁজ ছিল যুবক। গৌতম সহ চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে নিউটাউন থানার পুলিশ।
পুলিশ কী জানাচ্ছে?
পুলিশ সূত্রে খবর, গত চার তারিখ থেকে মিসিং ছিল সাজিদ হোসেন নামের ওই পড়ুয়া। পড়ুয়া মালদার কালিয়াচকের বাসিন্দা। ৫ তারিখ নিউটাউন থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করে পরিবার। এরপর বিকেলে মোবাইলে একটি ছবি পাঠানো হয়। যেখানে মুখে সেলুটেপ লাগানো অবস্থায় ছিল সাজিদ। সেই সময় মুক্তিপণ এর জন্য ৩০ লাখ টাকা দিতে হবে বলে দাবি করা হয়। সেই ছবি কিছুক্ষণ পর ডিলিট করেও দেওয়া হয়। আজ, শুক্রবার ভোররাতে ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয়।
সব খবর দ্রুত পেতে এই সময় ডিজিটাল হোয়াটস্যাপ চ্যানেল। ক্লিক: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A