কী জানা যাচ্ছে?
সাড়ে ১৯ ঘন্টা পর মধ্যমগ্রাম মাইকেল নগরের বাড়ি থেকে ED আধিকারিকরা বের হন। ED আধিকারিকরা বাড়ি ছেড়ে বেরোবার সময় বাইরে তৃণমূলের কর্মীরা স্লোগান দিতে থাকেন। পাশাপাশি, ED আধিকারিকরা বেরাবার সময় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক নাগারে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা স্লোগান তুলতে থাকে। বাড়ির বাইরে বেড়িয়ে কিছুটা দলের কর্মী সমর্থকদের সামলাতেও দেখা যায় মন্ত্রী রথীন ঘোষ কে।
খাদ্যমন্ত্রী কী জানালেন?
এবার প্রশ্ন এত ঘণ্টা ধরে ED আধিকারিকরা করলটা কী? খাদ্যমন্ত্রী গোটা বিষয়টি সংবাদমাধ্যম এর মুখোমুখি হয়ে জানান, তার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেনি আধিকারিকরা। ED আধিকারিকরা আদালতের নির্দেশে এই তদন্ত করছে। আমাকে কোনও জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। ১৪-১৭ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিতে তদন্ত ভার ED-র উপরে আছে। সমস্ত কিছু নিয়ে তাঁরা তদন্ত করলেন। আধিকারিকরা দেখলেন বাড়িতে কী আছে? ব্যাঙ্কে কী আছে? রথীনের কথায়, ‘পুরোটাই নাটক করার জন্যে।’
পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি
১৪-১৭ সাল পর্যন্ত যেহেতু রথীন ঘোষ মধ্যমগ্রাম পুরসভার পুরপ্রধান ছিলেন সেই কারণেই ED-র তাঁর বাড়িতে আসা। এর আগে পুরসভায় এসেছিল ED। প্রত্যেক পুরসভা গুলোকেই চিঠি দিয়েছিল ED। তবে রথীনের দাবি, পুর নিয়োগ নিয়ে তাঁদের বোঝার ক্ষেত্রে অনেক গোলযোগ আছে। কারণ তাঁরা এতদিন যেভাবে বলছিল বা হাইকোর্টও যা বলেছে তা মন্ত্রীর মনে হয়নি সঠিক ভাবে হয়েছে। মন্ত্রী আইনের কিছু ধারা নিয়েও ED আধিকারিকদের জানিয়েছেন। তিনি নিজেও একটা বই দিয়ে আধিকারিকদের সহযোগিতা করেছেন তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে।
একাধিক জায়গায় তদন্ত
EDর তদন্তের উদ্দেশ্য ১৪-১৭ সালে পুরসভায় যে নিয়োগ হয়েছে সেই সময় যারা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ছিলেন, অর্থাৎ যাঁরা চেয়ারম্যান ছিলেন, যাঁরা এক্সিকিউটিভ অফিসার ছিলেন তাঁদের সকলের বাড়িতে তাঁরা একই সময়ে তদন্তে এসেছেন। কারণ কেউ কারোর কাছে খবর আগে থেকে না পাঠাতে পারে। রথীন ঘোষ দাবি করেন, তাঁর বাড়ি থেকে কোনও নথি পাইনি ED। তাঁরা খালি হাতেই বেরিয়েছেন। তবে এই তদন্তে ED সন্তুষ্ট না অসন্তুষ্ট তা মন্ত্রী বলতে পারবেন না বলে জানান। অন্যদিকে, তল্লাশির পর বেরিয়ে ED আধিকারিকরা কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
নতুন খবর জানতে ও পড়তে এই সময় ডিজিটাল হোয়াটস্যাপ চ্যানেল। ক্লিক: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A