কী নির্দেশ দেওয়া হল?
সম্প্রতি একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছে, বাঘের হামলায় মৃত্যুর জন্য কোর ও বাফার অঞ্চল বিচার করা হবে না। যে কোনও জায়গায় রুটি রুজির স্বার্থে কোনও ব্যক্তি কাজের সূত্রে গেলে সেখানে বাঘের হামলায় মৃত্যু হলে ক্ষতিপূরণ পাবে তাঁর পরিবার। উল্লেখ্য, বর্তমানে বাঘের হানায় মৃত্যু হলে পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়।
কোন পথে মামলা?
জানা গিয়েছে, শান্তিবালা নস্কর নামে এক মহিলা ক্ষতিপূরণের জন্য মামলা দায়ের করেছিলেন। মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআরের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটি ও জয়নগর শাখার উদ্যোগে তিনি এই মামলা দায়ের করেন। অভিযোগকারীকে জানানো হয়েছিল, সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তির মৃত্যুর সময় রেঞ্জ অফিস বা ক্যাম্পে কোনও বাঘের আক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। কোর এরিয়ায় ঢোকার পর বাঘে টেনে নিয়ে গেলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নিয়ম নেই বলে জানানো হয়। এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন অভিযোগকারী।
কী জানালেন বিচারপতি?
বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চে এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। হাইকোর্ট উভয় পক্ষের সওয়াল শুনে জানায়, বাঘের হামলায় পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও জায়গা বিচার করা হবে। সেই ব্যক্তি জঙ্গলের গভীরে গিয়েছিলেন নাকি আশেপাশে ছিলেন সেটা ধার্য্য করা হবে না।
সুন্দরবন বাঘ বিধবা
সুন্দরবন অঞ্চলে বাঘের হানায় মৃত্যুর কারণে একাধিক গ্রামীণ মহিলার বিধবা হওয়ার বিষয়টি নতুন নয়। প্রতি বছরই একাধিক মহিলা তাঁর স্বামীকে হারান। বিধবা গ্রাম তৈরি হয়ে গিয়েছে সুন্দরবনে। বাঘের হানায় মৃত্যু হলেও অনেক পরিবারকে ক্ষতিপূরণ পেতে গিয়ে কাঠখড় পোড়াতে হয়। অনেকেই ক্ষতিপূরণ পান না বলে দাবি। সেক্ষেত্রে নিয়মের বেড়াজালে ফেলে ক্ষতিপূরণের তালিকা থেকে অনেকের নাম বাদ চলে যায়। এবার সেই সমস্যার অনেকটাই সুরাহা হল বলে মনে করা হচ্ছে। যিনি মামলা দায়ের করেছিলেন তাঁকে আগামী ১৩ অক্টোবরের মধ্যে পাওনা পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ মিটিয়ে দিতে হবে বলে জানা গিয়েছে।
দ্রুত নতুন খবর জানতে এই সময় ডিজিটাল হোয়াটস্যাপ চ্যানেল। ক্লিক: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A