কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, অমিতের কাছে বেশ কিছু নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। নিজে সশরীরে হাজিরা না দিলেও আইনজীবীর মারফত ED-র কাছে তিনি সেই নথি পাঠিয়েছেন। ED সূত্রে খবর সব মিলিয়ে ১২০০ পাতার নথি পাঠিয়েছেন তৃণমূল সাংসদের বাবা। তাঁকে ফের ডাকা হতে পারে বলে তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর। আপাতত তাঁর পাঠানো নথি খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
অন্যদিকে অভিষেকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একই মামলায় শুক্রবার তলব করে ED। কিন্তু তদন্তকারীদের সামনে তিনি হাজির হননি। সূত্রের খবর, ED-র কাছে ১০০০ পাতার নথি পাঠিয়েছেন অভিষেকের মা। সেই নথিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস মামলায় অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ১১ অক্টোবর তলব করা হয়েছে। তিনি ED-র সামনে হাজির হন কি না, সেটাই এখন দেখার। এই মামলায় ৩ অক্টোবর তলব করা হয় অভিষেককেও। দলীয় কর্মসূচির জন্য তিনি হাজিরা দেননি। ফের তাঁকে ৯ অক্টোবর তলব করা হয়। সেই তলবকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছেন অভিষেক। সেই মামলা আদালতে এখন বিচারাধীন।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র গ্রেফতার হওয়ার পর উঠে আসে অভিষেকের সংস্থাল লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নাম। সম্প্রতি সেখানে অভিযান চালান ED। সেখানে থেকে বেশ কিছু তথ্য উদ্ধার করা হয়। সেই তথ্যের পরিপ্রেক্ষিতেই এই তলব বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন তৃণমূলের সর্বভারতী সাধারণ সম্পাদকও। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘আমার পরিবারকে আগেও ডাকা হয়েছে। আমরা স্ত্রী ও শ্যালিকাকে একাধিকবার ডেকেছে ইডি। রাজনৈতিকভাবে না পেরে নতুন নতুন মামলায় আমার পরিবারে নাম জুড়ে দেওয়া হচ্ছে। আমার, বাবা, মা বা স্ত্রী যাকে ইচ্ছে ডাকুক। কিন্তু নরেন্দ্র মোদীর সামনে আমি মাথা নত করব না। আমার জেদ পাঁচগুণ বেশি। বিজেপি ও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার যা করার করে নি। আমি ভয় পাই না।’