শুক্রবার, কামারহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন বিজেপি সাংসদ। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ED-র অভিযান নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন দিলীপ। বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘যারা চুরি করেছে, অন্যায় করেছে তাদের বাড়িতে অভিযান চলছে। আগামী দিনেও চলবে। তদন্ত চলাকালীন অনেক রাঘববোয়ালরা জেলের ভিতর ঢুকেছে। পুজোর আগে বা পরে অনেকে জেলে যাবে । কেউ বেলে আছে। আবার কেউ জেলে আছে। তদন্ত হলে পুজোর আগেই তিন থেকে চার জনের জেলে যাওয়া উচিত।’ কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা ও একাধিক পুর আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে ED। তাই সেখানে দাঁড়িয়ে দিলীপের এই মন্তব্য ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গেও তৃণমূলকে নিশানা করেন বিজেপি নেতা। দিলীপ বলেন, ‘পুরসভাগুলিতে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। এমন কোনও দফতর নেই যেখানে নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি হয়নি। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দমকল, পুলিশ থেকে শুরু করে পুরসভা সব জায়গায় দুর্নীতি হয়েছে। সেই কারণে পুরসভার চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে। আগামী দিনেও হবে বলেই মনে করি। গরিব মানুষের টাকা লুঠ করা হয়েছে। দোষীদের শাস্তি হওয়া দরকার বলেই মনে হয়।’
রাজভবনের সামনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ধরনা নিয়ে মুখ খোলেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘রাজ্যে কোনও আইন-কানুন নেই। কেউ মানেও না। আমাদেরই শুধু রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে বাধা দেওয়া হয়। আদালতে যেতে হয় অনুমতি নেওয়ার জন্য। নইলে রাস্তা নামলেই গ্রেফতার করে নেওয়া হয়। এখানে তৃণমূলের আইন চলে। রাজ্যপালকে ঘেরা করে যদি টাকা পাওয়া যায়, সেই চেষ্টা চলছে। যাদের বিরুদ্ধে সারা রাজ্য জুড়ে ধরনা চলছে, তারা দিল্লিতে যাচ্ছেন। এর থেকে লজ্জার বিষয় আর কী হতে পারে। আঞ্চলিক দল যেখানে সরকার চালায়, তারা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে লড়াই করে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে।’
এই সময় ডিজিটালের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলের লিঙ্ক : https://www.whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A