Kamduni Incident : চাকরি দিয়েও ‘পার্মানেন্ট’ করেনি সরকার! বিস্ফোরক দাবি কামদুনিতে মৃত তরুণীর দাদার – kamduni case brother of kamduni victim says government doesnot gave him permanent job


২০১৩ সালে উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনিতে ধর্ষণ করে খুন করা হয় কলেজ পড়ুয়া এক তরুণীকে। দীর্ঘ ১০ বছর সেই মামলা চলার পর শুক্রবার দুই ধর্ষকের ফাঁসির সাজা খারিজ করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তাঁদের আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। অন্যদিকে আরও চার দোষী সাব্যস্তের সাজাও মকুব করেছে হাইকোর্ট। এই নিয়ে যখন গোটা রাজ্য তোলপাড়। তখন চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন কামদুনির মৃত তরুণীর পরিবারের সদস্যরা। মৃতার দাদাদের দাবি, রাজ্য সরকার চাকরির প্রতিশ্রুতি দিলেও তা যথাযথভাবে পালন করা হয়নি।

Kamduni Case Verdict: কামদুনি গণধর্ষণ ও খুনে খারিজ ফাঁসি, পরিবর্তে আমৃত্য কারাদণ্ডের নির্দেশ ২ দোষীকে
কামদুনিকাণ্ডের পর মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কামদুনিতে দাঁড়িয়ে দোষীদের কঠোর শাস্তির পক্ষে জোরাল সওয়াল করেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্য সরকারের তরফে মৃত পড়ুয়ার এক দাদাকেও চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। পরিবারের দাবি, প্রথম অস্থায়ী চাকরি দিয়ে বলা হয়েছিল দু’বছরের মধ্যে স্থায়ীকরণ করে দেওয়া হবে। ১০ বছর কেটে গেলেও এখনও তা করা হয়নি।

Kamduni Case Verdict : ‘মৌসুমীদের সঙ্গে কথা হয়েছে…’, কামদুনির প্রতিবাদীদের কী কী সাহায্য, জানালেন শুভেন্দু
শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মৃতের এক দাদা বলেন, ‘আমাকে প্রথম বলে হয়েছিল চুক্তিভিত্তিক পদে যোগ দিতে। পরে চাকরি স্থায়ী করে দেওয়া হবে। এখন বলছে পরিবারের তরফে না কি এটাই দাবি করা হয়েছে। সরকারি চাকরি আমি পেয়েছি কি না তা স্পষ্ট করে বলছে না। কিন্তু এই সবে কিছু যায় আসে না। আমরা সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছি কালকের রায়ের বিরোধিতা করে। দরকার হলে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির কাছেও যাব। কামদুনি ফের জেগে উঠেছে। আবার লড়াই হবে। সিআইডি সঠিকভাবে তদন্ত করেনি। সিবিআই দিয়ে আবার যেন তদন্ত হয় এটাই আমরা চাই। আমরা মূল অভিযুক্তদের ফাঁসি চাইছি।’

Kamduni Case Verdict : ‘শয়তানগুলো বেঁচে গেল!’ রায় শুনে হাহাকার মৌসুমী-টুম্পার, অসুস্থ নির্যাতিতার ভাইও
মৃতের আরেক দাদা বলেন, ‘হাইকোর্টের রায় খুবই হতাশাজনক। আমরা চেয়েছিলাম নির্ভয়াকাণ্ডের মতো দোষীদের শাস্তি হোক। কিন্তু ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত বন্দি ছাড়া পেয়ে গেল। আমরা চাই মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে দেখা করুক। বারবার চেষ্টা করেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে পারিনি। রাজ্য সরকার আমার ভাইকে যে চাকরি দিয়েছিল, দু’বছর পর বলেছিল স্থায়ীকরণ হবে। কিন্তু তা করা হয়নি। ১০ বছর হয়ে গেল কিছুই হয়নি। দরকার হলে আমরা সেই চাকরি প্রত্যাহার করে দেব। কোনও অসুবিধা নেই।’

এই সময় ডিজিটাল এখন হোয়াটসঅ্যাপে। দিনের সেরা খবর জেনে নিন। রইল লিঙ্ক : https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *