পুলিশ কী জানাচ্ছে?
হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সূত্রে খবর, গত অগাস্ট মাসে দাদপুর থানার মহেশ্বরপুর থেকে একটি বারো চাকার এলপি ট্রাক হাইজ্যাক হয়। গত ২৮ অগাস্ট দাদপুরের মহেশ্বরপুর এলাকার বাসিন্দা ট্রাক মালিক সুরিন্দর রায় দাদপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ করেন, উমেশ রায় নামে এক চালকের বিরুদ্ধে। উমেশ বিহারের বাসিন্দা। সে লরি চালাত। সুরিন্দরের ট্রাক ভাড়ায় নিয়ে গিয়েছিল।
এরপর কী ঘটে?
উমেশের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে পুলিশে অভিযোগ করেন ট্রাক মালিক। উমেশের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশান ট্র্যাক করে দাদপুর থানার পুলিশ জানতে পারে বিহারের পূর্ব চম্পারন এলাকায় রয়েছে উমেশ। গত ২৬ সেপ্টেম্বর সেখানে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বিহারের মোতিহারী আদালতে পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডে দাদপুর নিয়ে আসা হয়। চুঁচুড়া আদালতে পেশ করে দশ দিনের পুলিশ হেফাজত নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।
ট্রাক পাচারের পরিকল্পনা
পুলিশি জেরায় উমেশ জানায়, হাইজ্যাক করা ট্রাক আসামের শিলচরে আছে। গত ২ রা অক্টোবর শিলচরের একটি গ্যারাজ থেকে ট্রাক উদ্ধার করে নিয়ে আসে পুলিশ। তদন্তকারীদের দাবি, ট্রাক মডিফাই করে বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল। তার আগেই অবশ্য ধরা পরে যায় অভিযুক্ত। পুলিশের অনুমান, এই ট্রাক হাইজ্যাকে একটা বড় চক্র সক্রিয় আছে। উমেশ রায়ের সঙ্গে আর কে যুক্ত ছিল এই ঘটনায় তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ট্রাক হাইজ্যাক
কয়েক মাস আগেই হলদিয়া থেকে আসাম হওয়ার পথে রহস্যজনক ভাবে হারিয়ে যায় একটি ট্রাক। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই ট্রাকে করে ৪৫ লাখ টাকার দামি ব্যাটারি যাচ্ছিল। দামি পণ্যসামগ্রী লুঠ করতেই এভাবে হাইজ্যাক করা হয় বলে মনে করে পুলিশ। এর আগে জুন মাসে ১৫ দিনে দু’টি ট্রাক হাইজ্যাক হয়। সব ক্ষেত্রেই লক্ষাধিক টাকার পণ্য হাপিস হয়ে যায়। একের পর এক ট্রাক হাইজ্যাক হওয়ার ঘটনায় চিন্তার ভাঁজ পড়ে পুলিশের কপালে। চালক সেজে একাধিক জেলায় ট্রাক হাইজ্যাক করার একটি চক্র কাজ করছে বলে ধারণা পুলিশের।
সব খবর জানতে এই সময় ডিজিটাল হোয়াটস্যাপ চ্যানেল। ক্লিক: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A