সেখানে কিছুক্ষণ দাঁড়ানোর পরে ফের ৯টা ২৫ নাগাদ মিনিটে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এখানেও রেললাইনের ট্র্যাকে গোরু চলে আসায় ধাক্কা লাগে। এই ঘটনার পরে গোরুর মালিককে গ্রেফতার করে আরপিএফ। দ্বিতীয় গোরুর মালিকের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।
বার বার ট্রেনটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় ইতিমধ্যে রেলের যাত্রীসুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আলিপুরদুয়ারের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার অমরজিত গৌতম বলেন, ‘বিদেশে দ্রুতগামী ট্রেনের ট্র্যাকের দু’ধারে যে ভাবে ফেন্সিং লাগানোর ব্যবস্থা রয়েছে, আমাদের সেই পরিকাঠামো নেই। এবং তা ব্যয় সাপেক্ষও বটে। ফলে বার বার এই ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে।’
দু’টি দুর্ঘটনার পরেই তদন্তে নামে আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের আরপিএফ আধিকারিকরা। আলিপুরদুয়ার জংশনে আরপিএফ ইন্সপেক্টর অরুণ কুমার বলেন, ‘একজন গোরুর মালিককে আমরা গ্রেফতার করেছি। আরেকজনের খোঁজ চলছে। আমরা সচেতনতামূলক প্রচার অভিযান করলেও মানুষ রেল ট্র্যাকের কাছে গোরু বেঁধে রাখছে বা চেড়ে রাখছে। যে কোনও সময়ে বড় দুর্ঘটনা হতে পারে।’
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, রেলের আইন অনুসারে ধৃত ব্যক্তির দোষ প্রমাণিত হলে তাঁর ২ বছর জেল ও মোটা অঙ্কের জরিমানা হতে পারে।