সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামির বাড়ি নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তির্যক মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন দিবাকর ঘরামি নিজে। অভিষেকের সেই মন্তব্যকে দিবাকর ঘরামি শুধু মিথ্যা বলে দাবী করলেন তাই নয়, মিথ্যা মন্তব্যের জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আইনি নোটিশ পাঠানোর হুঁশিয়ারিও দিলেন। এই ঘটনায় সোনামুখী এলাকায় তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর তৈরী হয়েছে। পাল্টা বিধায়ককে বিঁধতে কসুর করছে না তৃণমূল।
আবাসের বকেয়ার দাবীতে রাজভবনের সামনে গত ৫ অক্টোবর থেকে ধরনা অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই বক্তব্য রাখার সময় শনিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামির প্রসঙ্গ টেনে আনেন। দিবাকর ঘরামির অভিযোগ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ওই বক্তব্যে দিবাকর ঘরামির তিন তলা বাড়ি থাকা সত্বেও আবাস প্রকল্পের তালিকায় স্ত্রী প্রতিমা ঘরামির নাম থাকার কথা উল্লেখ করে তির্যক মন্তব্য করেছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বক্তব্য সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেন সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি।
রীতিমত সাংবাদিক সম্মেলন করে দিবাকর ঘরামি দাবি করেন, সোনামুখীর কুরুমপুর গ্রামে পাকা বাড়ি তো দূর, তাঁর একটি দু’কামরার একতলা ও একটি অ্যাসবেস্টাসের বাড়ি রয়েছে। একতলা বাড়িটিতে দাদা ও অ্যাসবেস্টাসের বাড়িতে তিনি নিজে থাকেন। আবাস প্রকল্পের তালিকায় স্ত্রী প্রতিমা ঘরামির নাম রয়েছে জানার পরই দিবাকর ঘরামির স্ত্রী প্রতিমা ঘরামি সরাসরি ই-মেইল করে জেলা শাসককে আবাস প্রকল্পের বাড়ি নেওয়ার বিষয়টি প্রত্যাখান করেছেন। দিবাকর ঘরামির দাবী, এই প্রথমবার নয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখনই বাঁকুড়ায় এসেছেন, তখনই তাঁর বাড়ির প্রসঙ্গ টেনে এনেছেন। মিথ্যা মন্তব্যের জন্য দ্রুত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আইনি নোটিশ পাঠানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওই বিধায়ক। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘মঞ্চ বেঁধে মিথ্যে বলা জেনেটিক রোগ।’
বিধায়কের বক্তব্য, কখনও প্রশাসন আবার কখনও ভোট কুশলী সংস্থাকে পাঠিয়ে তাঁকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেয় তৃণমূল। তৃণমূলে যোগ দিলে ৬০ লাখ টাকা দেওয়া, দুই ভাইপোর চাকরি ও দামী গাড়ি দেওয়ার প্রস্তাবও দেওয়া হয়। কিন্তু সেই প্রস্তাব তিনি ফিরিয়ে দেওয়াতেই তাঁকে বারেবারে আক্রমণের লক্ষ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিধায়কের। তৃণমূলের দাবী কেন্দ্র আবাস যোজনা থেকে একশো দিনের কাজে বিভিন্ন ভাবে রাজ্যকে বঞ্চিত করছে। তার প্রতিবাদে আন্দোলন করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নজর ঘোরাতেই এখন এসব বলা হচ্ছে। বিধায়ক আইনি নোটিশ পাঠাতেই পারেন। কিন্তু, আবাস যোজনার তালিকায় তো তাঁর স্ত্রীর নাম ছিল। তালিকায় কীভাবে এল তাঁর স্ত্রীর নাম? এখন দাদা ভাই আলাদা থাকার গল্প ফাঁদছেন বিধায়ক।
জেলার সমস্ত খবরের জন্য ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেল। ক্লিক করুন- https://bit.ly/eisamay-whatsapp-channel