ধরনা মঞ্চ থেকে এদিন অভিষেক বলেন, ‘রাজ্যাপল জানিয়েছেন এই দাবি ন্যায়সম্মত এবং ন্যাষ্য। উনি জানিয়েছেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তিনি এই নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন। উনি আমাদের সঙ্গে অত্যন্ত ভালো ব্যবহার করেছেন। রাজভবনে আমাদের জন্য চা জলের ব্যবস্থা করেছিলেন। কিন্তু আমরা এক ঢোক জলও খাইনি। রাজভবনে মানুষের দাবি নিয়ে ঢুকেছি, ফূর্তি করতে নয়। যেদিন মানুষের টাকা ফিরে আসবে, সেদিন ওই রাজভবনে গিয়েই চা মিষ্টি খেয়ে আসব।’
তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড আরও বলেন, ‘৯ থেকে ৩১ অক্টোবর অবধি আমরা সময়সীমা দিচ্ছি। দাবি পূরণ না হলে ১ তারিখ আমরা আবার রাস্তায়। তবে এবার অভিষেক নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা রাস্তায় নামব। এই পাঁচদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন না, রাস্তায় নামেননি। পাঁচদিন ট্রেলার দেখালাম। পিকচার অভি বাকি হ্যায়। আমরা আমাদের বিষয় নিয়ে যায়নি, মানুষের বিষয় নিয়ে গিয়েছি। রাজ্যপাল আমাদের উত্তর এনে দিতে পারলে আমরা পরবর্তী লড়াইয়ের রাস্তা ঠিক করব।’
তৃণমূলের আন্দোলন দমিয়ে ফেলা যাবে না বলে জানিয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘ধমকে বা চমকে তৃণমূলের আন্দোলনকে যদি দমিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন, সেটা হবে। যতদিন যাবে আন্দোলন আরও তীব্র হবে। বাংলা দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণ করবে না। বাংলা কী করতে পারে ৯ বছর দিল্লিতে বসে থাকা সরকারকে ৭ দিনে দেখিয়ে দিয়েছে। দিল্লি থেকে আমাদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বাংলায় আসতে বাধ্য হয়েছেন।’
লোকসভা ভোটের আগে কেন্দ্রীয় বঞ্চনা ইস্যুতে ক্রমশ সুর চড়াচ্ছে তৃণমূল। ২ ও ৩ তিন অক্টোবর দিল্লিতে ধরনা ও বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অংশ নেন দলের নেতা কর্মীরা। দিল্লি থেকে রাজভবন অভিযানের কথা ঘোষণা করেন অভিষেক। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাজ্যপাল এখন নতুন কোনও পদক্ষেপ নেন কি না, সেটাই দেখার।
