কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?
একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আাদালতের নজরদারিতে এই তদন্ত চলছে। আমি ১৯৯৫ থেকে ২০২০ পর্যন্ত রানাঘাট পুরসভার চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলাম। তখন কিছু নিয়োগ হয়েছিল পুরসভাতে। সেই হিসেবে সিবিআই আমার কাছে এসেছে। বিজেপি বিধায়ক হিসেবে আসেনি। পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান হিসেবে আমার কাছে এসেছিল।’
বিজেপি বিধায়ক আরও বলেন, ‘আমার কাছে কিছু তথ্য চাইলেন তাঁরা। পুর নিয়োগ নিয়ে কোনও তথ্যই আমার কাছে নেই। সেটা আমি পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছি। রানাঘাট পুরসভাতে গিয়ে তারা হয়তো সেই তথ্য পাওয়ার চেষ্টা করবেন। পুরসভা থেকে আমি কোনও তথ্য বাড়িতে নিয়ে আসিনি।’
নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত হুগলির প্রোমোটার অয়ন শীলকে নিয়েও এদিন বিস্ফোর দাবি করেন বিজেপি বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘অয়ন শীল আমার অফিসে এসেছিলেন। আসতেই পারেন, কারণ আমি টেন্ডার ডেকেছিলাম। তাতে উনি অংশগ্রহণ করেন। খুব বেশিদিন আসেনি, ওঁর কর্মচারীরাই আসত। কিন্তু কয়েকদিন আগে যে অয়ন শীলকে আমি সংবাদমাধ্যমে দেখলাম, তার সঙ্গে আগের অয়ন শীলের চেহারার অনেক অমিল। এই দুর্নীতিগ্রস্থ এবং টাকা খাওয়া অয়ন শীলকে আমি চিনতাম না। আমি চেয়ারম্যান থাকাকালীন অয়নের সংস্থা দু’বার পরীক্ষা নেওয়ার বরাত পেয়েছিল। একবার ৬০ ও আরেকবার ১৬ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল।’
বিজেপি বিধায়ক আরও বলেন, ‘সিবিআইকে অয়ন শীলকে কী তালিকা দিয়েছে, আমি জানি না। আমি আবার বলছি, বিধায়ক নয়, প্রাক্তন চেয়ারম্যান হিসেবে CBI এসেছিল। তবে আমি এটা বলতে পারি। রানাঘাট পুরসভায় নিয়োগ নিয়ে কোনও ধরনের বেনিয়ম হয়নি।’
পুজোর আগে সাঁড়াশি তল্লাশি CBI-র
পুর নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তৎপর সিবিআই। গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার একাধিক নেতামন্ত্রীর বাড়িসহ ১৪ জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। রবিবার মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রর বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। আরও ১২ জায়গায় চলে সিবিআই অভিযান। সোমবার বিজেপি বিধায়কের পাশাপাশি আরও কয়েক জায়গায় চলে তদন্তকারী সংস্থার অভিযান। আগামী দিনে তদন্তের গতি আরও বাড়ে কি না, সেটাই এখন দেখার।