Health Recruitment : সরকারি চাকারির নাম প্রতারণা! ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’-তে ফোন করতেই ‘খেল খতম’ – sorasori mukhyamantri initiative denganga man arrested for job fraud case after


স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা তোলার অভিযোগ। অবশেষে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করার পর গ্রেফতার এক অভিযুক্ত। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দেগঙ্গাতে। স্বাস্থ্য দফতরে চাকরি দেওয়ার নাম করে দফাই দফায় ৯ থেকে ১০ জনের কাছ থেকে ৮০-৯০ লাখ টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে। গোটা ঘটনার কথা জানাজানা হতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।

অভিযোগকারী, শরিফুল বিশ্বাস ও অভিজিৎ কাহারের স্পষ্ট অভিযোগ, স্বাস্থ্য দফতরের চাকরি দেওয়ার নাম করে ইউনিস আলি মুদি, বিদ্যুৎ মণ্ডল ও তাঁর ছেলে অয়ন মণ্ডল লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন। টাকা নেওয়ার পর তাঁদের জন্য ভুয়ো ইন্টারভিউের ব্যবস্থা করা হয়। তারপরই ভুয়ো নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

Uttar 24 Pargana News : ISL-এ সুযোগ দেওয়ার ‘প্রতিশ্রুতি’! ভুয়ো ফুটবল অ্যাকাডেমির ফাঁদে পড়ে সর্বসান্ত উঠতি খেলোয়াড়রা
প্রতারিতদের দাবি, তাঁদের শিয়ালদার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিন মাস কেটে যাওয়ার পরও কোনও জয়েনিং লেটার না আসার কারণে তাঁরা অভিযুক্তদের চাপ দিতে থাকেন। তখন রেলে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু দীর্ঘদিনের টালবাহানার পরও তাঁদের চাকরির কোনও বন্দোবস্ত না হওয়ায় বুঝতে পারেন যে তাঁরা প্রতারণার ফাঁদে পড়েছেন।

Cyber Fraud: আধার জালিয়াতির পর প্রতারণার নয়া ফাঁদ, করোনার নামে লুঠ করা হল সাড়ে চার লাখ টাকা
শরিফুল ও অভিজিৎদের অভিযোগ, এরপর থেকে অভিযুক্তদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি। ফোনেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। এমনকী তাঁদের কাছে হুমকি ফোন আসত বলেও অভিযোগ। এরপরই বাধ্য হয়ে ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’-তে ফোন করেন প্রতারিতরা। সেখান থেকে খবর যায় এসডিপিও অফিসে।

পুলিশের তরফে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়য এসডিপি অফিসে অভিযোগকারীরা অভিযোগ লিখিত দেন। তারপরেই দেগঙ্গা থানার পুলিশ তদন্তে নামে। তদন্তে নেমে প্রধান অভিযুক্ত ইউনুস আলি মুদি নামের প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে দেগঙ্গা থানার পুলিশ।

Kolkata Police : পুজোর পার্সেল দেওয়ার নামে প্রতারণা, ‘টার্গেট’ মহিলারা! সতর্ক করল পুলিশ
অভিযুক্ত শফিকুল বলেন, ‘ইউনুস আলি মুদি আমাকে একদিন স্বাস্থ্য দফতরে চাকরির প্রস্তাব দিয়েছিল। আমি স্নাতক পাশ করেছি। টাকা পয়সা জোগাড় করে টাকা দিই। ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়েছি। সব মিলিয়ে ৮ লাখ টাকা দিয়েছি। প্রথমে স্বাস্থ্য দফতরে চাকরির কথা বলে। তারপরে রেলের চাকরি দেওয়ার কথা বলে। তখনই আমি বুঝি যে প্রতারণার শিকার হয়েছি। তারপর সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীতে ফোন করি সমস্যার কথা জানাই। তারপরই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।’

এই সময় ডিজিটালের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল : https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *