Kamduni Case,কামদুনিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা! হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ নয়, জানাল শীর্ষ আদালত – supreme of india not give stay order on calcutta high court kamduni verdict


কামদুনিকাণ্ডে এবার সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের। কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল CID। কামদুনিকাণ্ডে এখনই কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া রায়ে স্থগিতাদেশ নয় জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। নোটিশ জারি করে সব পক্ষের জবাব তলব করেছে শীর্ষ আদালত। তারপরই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।

সোমবার বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। রাজ্যের হয়ে সওয়াল করেন বিশিষ্ট আইনজীবী কপিল সিব্বল। তিনি শীর্ষ আদালকে জানান, কামদুনি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত না করলে রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে। কিন্তু কপিল সিব্বালের এই যুক্তি গ্রহণ করেনি শীর্ষ আদালত।

Kamduni Incident: ‘এটা যদি বিরলতম ঘটনা না হয়…’, কামদুনিকাণ্ডে ফাঁসির সাজা দিয়ে কী বলেছিলেন নিম্ন আদালতের বিচারক?
কামদুনিকাণ্ডে কলকাতা হাইকোর্টের রায় আসার পরই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই মতো সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ে বেঞ্চে এই মামলার উল্লেখ করে রাজ্য। স্পেশাল লিভ পিটিনশ দাখিল করা হয় শীর্ষ আদালতে। কিন্তু কামদুনিকাণ্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কার মুখে রাজ্য সরকার ও প্রতিবাদীরা।

২০১৩ সালে কামদুনির ঘটনা গোটা রাজ্যে তোলাপাড় ফেলে দিয়েছিল। উত্তর ২৪ পরগনার এই গ্রামে কলেজ পডুয়া এক তরুণীকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই ঘটনায় গোটা রাজ্যে নিন্দার ঝড় উঠেছিল। নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কামদুনিতে দাঁড়িয়েই দোষীদের কঠোর শাস্তির বন্দোবস্ত করা হবে বলে জানিয়েছিলেন মমতা।

Adhir Ranjan Chowdhury : সিআইডির তদন্তে ‘গাফিলতি’ ছিল, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি কামদুনি রায়ে ‘অসন্তুষ্ট’ অধীরের
দীর্ঘদিন ধরে কামদুনি নিয়ে নিম্ন আদালত ও কলকাতা হাইকোর্টে মামলা চলছিল। শুক্রবার এই মামলায় রায় দেয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি অজয়কুমার গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ। নিম্ন আদালতে ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত সইফুল আলি এবং আনসার আলি মকুব করে তাঁদের আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। অন্যদিকে নিম্ন আদাতলে আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত ইমানুল ইসলাম, আমিনুর ইসলাম এবং ভোলানাথ নস্করকে ১০ বছর জেলা খাটার জন্য মুক্তির নির্দেশ দেয় আদালত। ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আমিন আলিকেও মুক্তি দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

Kamduni Incident : চাকরি দিয়েও ‘পার্মানেন্ট’ করেনি সরকার! বিস্ফোরক দাবি কামদুনিতে মৃত তরুণীর দাদার

কলকাতা হাইকোর্টের এই রায় আসার পর কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার পরিবার ও কামদুনির বাসিন্দারা। এই ঘটনার অন্যতম প্রতিবাদী মুখ মৌসুম কয়াল ও টুম্পা কয়ালকে হাউহাউ করে কাঁদতে দেখা যায়। কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার ও বাসিন্দারা CID তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এমনকী সিবিআই তদন্তের দাবিও করেন তাঁরা। মৃতের পরিবারের তরফে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাতের দাবিও তোলা হয়। আজকের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর এই মামলা কোন দিকে যায়, সেটাই দেখার।

এই সময় ডিজিটাল এখন হোয়াটসঅ্যাপে : https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *