Kamduni Case: কামদুনির প্রতিবাদীদের সঙ্গে বৈঠকে শুভেন্দু, আইনি সাহায্যের আশ্বাস – kamduni victim family and friend mousumi koyal meets with suvendu adhikari


কামদুনি কাণ্ডে ন্যায়ের দাবিতে এবার সক্রিয় BJP। জেল থেকে কামদুনিকাণ্ডে চার অভিযুক্ত একদিকে মুক্তি পেলেন তো কামদুনিকাণ্ডে এবার সুপ্রিম কোর্টে ধাক্কা রাজ্যের। হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল CID। কামদুনিকাণ্ডে এখনই কলকাতা হাইকোর্টের স্থগিতাদেশের আর্জি খারিজ শীর্ষ আদালতের।

এরপরই কামদুনিকাণ্ডে নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রীর পরিবার ও বান্ধবী মৌসুমী কয়াল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কাছে সাহায্যের আর্জি কামদুনিকাণ্ডে নির্যাতিতার পরিবারের। তাদের সম্পূর্ণ আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, তারা সঙ্গে আছেন। সবরকম সাহায্য করবেন। একইসঙ্গে আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার কামদুনিতে BJPর মহিলা মোর্চার কর্মসূচির কথাও ঘোষণা করেন তিনি।

কামদুনিকাণ্ডে সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা! হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ নয়, জানাল শীর্ষ আদালত

এই বৈঠক প্রসঙ্গে BJP নেতা শঙ্কুদেব পাণ্ডা বলেন, ‘রাজ্য নাটক করছে। লোক দেখিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করছে আর এখানে ফাঁসির আসামীকে ছেড়ে দিচ্ছে। কামদুনির বোনের পরিবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা করে সাহায্য চান। আইনি সহায়তা সহ সব সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই এই নিয়ে আরও বড় কর্মসূচি নিতে চলেছে BJP।’

উল্লেখ্য, সাতদিন বাদে সুপ্রিম কোর্ট কামদুনি কেসের পরবর্তী শুনানি। এদিন বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি নোটিশ জারি করে সব পক্ষের জবাব তলব করেছে শীর্ষ আদালত।


Kamduni Incident: ‘এটা যদি বিরলতম ঘটনা না হয়…’, কামদুনিকাণ্ডে ফাঁসির সাজা দিয়ে কী বলেছিলেন নিম্ন আদালতের বিচারক?

২০১৩ সালে উত্তর ২৪ পরগনার কামদুনির বুকে হওয়া এই ঘটনা গোটা রাজ্যে তোলাপাড় ফেলে দিয়েছিল। ৭ জুন দিনে দুপুরে এক কলেজ পড়ুয়াকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে পরিত্যক্ত কারখানায় ধর্ষণের পর নৃশংসভাবে খুন করা হয়। এই ঘটনায় নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত তিনজনের ফাঁসি ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে অভিযুক্তরা হাইকোর্টে যান। ঘটনার ১০ বছর পর কলকাতা হাইকোর্ট ৬ অক্টোবর চূড়ান্ত রায় শোনায়। যাকে ফাঁসির সাজা রদ করে দুজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয় ও একজন ফাঁসির সাজাপ্রাপ্তকে বেকসুর খালাস দেন। এমনকী যাবজ্জীবনের সাজাপ্রাপ্ত তিন অভিযুক্তের সাজা কমিয়ে তাদের বেকসুর খালাস দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। এই রায়ের পরেই শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। তবে রাজ্যের ভূমিকায় সন্তুষ্ট নয় নির্যাতিতার পরিবার।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *