ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা
প্রায় এক সপ্তাহ হতে চলল, পুরোপুরি ছন্দে ফিরতে পারেনি গোটা সিকিম। যার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে শিলিগুড়ির ব্যবসায়ী মহলেও। সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার বেহাল দশা। পাশাপাশি, ব্যাপক হারে পর্যটক সংখ্যা কমে যাওয়ায় মাথায় হাত শিলিগুড়ি শহর ও শহর সংলগ্ন ব্যবসায়ীদের। সময় যত গড়াচ্ছে, ব্যবসার ক্ষতি আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
কী জানাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা
শিলিগুড়ি শহর ও শহর সংলগ্ন ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, সিকিমের সঙ্গে সংযোগকারী প্রধান রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে পর্যটকদের আনাগোনা তলানিতে ঠেকেছে। রাস্তা দ্রুত চালু না হলে আগামী রবিবারের মধ্যে খরচের পরিমাণ ৩০০ কোটিতে গিয়ে ঠেকবে। শহর ও শহর সংলগ্ন ৯৪টি বাজার রয়েছে। প্রতিটি বাজারেই আনুমানিক দৈনিক ৬০ কোটি টাকার কাছাকাছি ক্ষতি হয়েছে বলে জানান শিলিগুড়ি খুচরো ব্যবসা সমিতির এক সদস্য।
মাছি তাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা
শিলিগুড়ির বিধান মার্কেট, হংকং মার্কেট অত্যন্ত জনপ্রিয় পর্যটকদের কাছে। পাশাপাশি, পাহাড়ের বাসিন্দাদের কাছে এই সমস্ত বাজারের মুদির দোকান থেকে শুরু করে প্রসাধনী, জামাকাপড়, সবজি সব কিছুরই চাহিদা রয়েছে। এই সমস্ত বাজারগুলোতে যেখানে একশো কোটি টাকার কাছে ব্যবসা হয়। সেখানে তলানিতে ঠেকেছে ব্যবসা। এখনও পর্যন্ত সিকিম যাওয়ার দুটি রাস্তা চালু থাকায়, সেগুলি ব্যবহার করে সবজি যাচ্ছে। কিন্তু, তাও প্রায় ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কম।
মনে করাচ্ছে লক ডাউন
করোনা কালের হাল মনে পড়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের। শিলিগুড়ি বিধান মার্কেটের এক ব্যবসায়ীর কথায়, ‘ করোনা কালে আমাদের এরকম বিপদের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। ব্যাপক হারে এই এক সপ্তাহে ব্যবসা মার খেয়েছে। সামনে যে পুজো আছে, সেটা আমাদের মনেই আসছে না। পরিবারের হাতে কী তুলে দেব, জানি না?’ কিছু ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, সবজি বা ফল ঘুরপথে সিকিমে পাঠানো হলেও সেটার পরিবহণ খরচ অনেকটাই কমে গিয়েছে। যে কারণে আমাদের লভ্যাংশ অনেকটাই কমে গিয়েছে।
চাল-ডাল, তেল থেকে শুরু করে বিভিন্ন সবজি এবং অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী জোগান দেয় শিলিগুড়ি। পণ্যবাহী ছোট গাড়িতে কিছু জিনিস পাঠানো গেলেও সেই পরিমাণ অনেকটাই কম। সবজি, মশলা, মাছ মাংস নিয়ে ৩০-৪০টি গাড়ি যেত নিত্যদিন শিলিগুড়ির মার্কেট থেকে। বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায় গাড়ি যাচ্ছে হাতে গোনা কয়েকটি। বিশেষত, খুচরো ও মাঝারি মানের ব্যবসায়ীরা সবথেকে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। মার খেয়েছে কাপড়ের ব্যবসাও। পুজোর আগে কিছুটা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক, এমনটাই আশা সকলের।
নতুন খবর আপনার মোবাইলে পেতে জয়েন করুন এই সময় ডিজিটাল হোয়াটস্যাপ চ্যানেল। ক্লিক: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A