একইসঙ্গে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেওয়ার পাশাপাশি উপাচার্য নিজেই রাস্তায় নেমে হেরিটেজের সামনে টোটো স্ট্যান্ড না করার জন্য চালকদের আরজি জানান। কোনওরকম নির্দেশ বা আদেশ নয়, একদম বিনয়ের সুরে হয়ে কার্যত হাতজোড় করে টোটো চালকদের অনুরোধ করেছেন তিনি। আর সেই ঘটনার পরেই সোমবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন শান্তিনিকেতনের বাসিন্দারা। সেই চিঠিতে তাঁরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। চিঠিতে তাঁরা উল্লেখ করেছেন, ‘রাজ্য ও কেন্দ্রের বিরোধিতার ঘোলা জলে মাছ ধরছেন উপাচার্য।’
প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি
চিঠিতে শান্তিনিকেতনবাসী লিখেছেন,’অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ১৮ সালে উপাচার্য হওয়ার পর থেকে একের পর এক যে তুঘলকি সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন, তার জন্য শান্তিনিকেতনের সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাঁচ বছর ধরে তিনি ভারত সরকারের ঘোষিত জনকল্যাণমূলক নীতির সম্পূর্ণ বিরুদ্ধাচারণ করছেন। শান্তিনিকেতন আন্তর্জাতিক পর্যটন কেন্দ্র হওয়ায়, তাকে ঘিরে সাধারণ নিম্নবিত্ত মানুষের জীবন জীবিকার আবর্ত তৈরি হয়েছে। বহু মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তাদের রুজি রোজকার শান্তিনিকেতনকে কেন্দ্র করে অন্বেষণ করেন। কিন্তু বিদ্যুৎবাবু শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলা ও বসন্ত উৎসব বন্ধ করে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা মানুষদের ভাতে মারার ব্যবস্থা করেছেন।’
‘ঘোলা জলে মাছ ধরছেন’
চিঠিতে শান্তিনিকেতনের মানুষজন আরও লেখেন, ‘হেরিটেজ সাইট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে রাজনীতি শুরু করেছে তিনি এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে অযাচিত বিতর্ক তৈরি করে পর্যটক ও বায়োফ্রি টোটোর যাতায়াত বন্ধ করে দিয়ে, আবার একবার সাধারণ মানুষ ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের পেটে লাথি মারার ব্যবস্থা করেছেন। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী মহাশয় রাজ্য ও কেন্দ্রের বিরোধীতার সুযোগ নিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে পড়েছেন। একটি শান্ত পর্যটন ক্ষেত্রকে অশান্ত করে নিজের ফায়দা লোটার চেষ্টা করছেন।’
রাজ্যের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ
প্রসঙ্গত, বিগত দিনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে উপাচার্যের বিরোধ দেখা গিয়েছে। এমনকী বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিভিন্ন কাজের বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে ছাত্রছাত্রী ও প্রাক্তনীদের একাংশকেও। সেই পরিস্থিতিতে শান্তিনিকেতনবাসীর এই চিঠি বিশেষ তৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
দিনের বড় খবরের জন্য ফলো করুন এই সময়ের ডিজিটাল চ্যানেল। ক্লিক : https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A