এদিকে DA আন্দোলন বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। কর্মবিরতিতে অংশ নিচ্ছে না রাজ্য সরকারি কর্মচারি পরিষদ। আন্দোলনকারীদের নৈতিক সমর্থন দিলেও সই করে কাজ না করা সার্ভিস রুলের পরিপন্থি বলেই জানিয়েছেন সরকারি কর্মচারি পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল।
তবে DA-র দাবিতে আইনি লড়াই আরও জোরাল হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, আগামী ৩ নভেম্বর এই মামলাটি উঠতে পারে সুপ্রিম কোর্টে। যদিও এই তারিখ এখনও চূড়ান্ত নয়।
সরকারি কর্মচারি পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, “আমরা আশাবাদী সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের SLP খারিজ করে দেবে। এর আগে স্যাট এবং হাইকোর্ট সরকারি কর্মীদের পক্ষেই রায় দিয়েছিল। আশা করছি সুপ্রিম কোর্টেও আমাদের জয় হবে।”
প্রসঙ্গত, গত বছর এপ্রিল মাসে কলকাতা হাইকোর্ট DA মামলার প্রেক্ষিতে রায় দিয়েছিল সরকারি কর্মীদের পক্ষেই। তিন মাসের মধ্যে বকেয়া DA মিটিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর রাজ্যের তরফে ফের এই রায় পুর্নবিবেচনা করার আর্জি জানিয়ে দ্বারস্থ হয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চের। কিন্তু, সেই আবেদনও খারিজ হয়ে যায়।
এরপর মামলার জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। গত বছর ২৮ নভেম্বর প্রথম মামলাটি তারিখ পায় সুপ্রিম কোর্টে। এরপর মোট আটটি তারিখ পেয়েছে মামলাটি। সুপ্রিম কোর্টে শেষ শুনানির তারিখ ছিল ১৪ জুলাই।
যদিও এই দিনও সুপ্রিম কোর্টে মামলাটির শুনানি হয়নি। সেক্ষেত্রে কবে ফের মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে উঠতে চলেছে, সেই দিকে তাকিয়ে সরকারি কর্মীরা। এদিকে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের কর্মবিরতির সমালোচনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন। সংগঠনের পক্ষ থেকে সরকারি পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে। কর্মবিরতিতে অংশ নিলে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা তা এখনও রাজ্যের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়নি।
তবে এই কর্মবিরতির ডাক এড়িয়ে পুজোর মুখে সরকারি দফতরগুলির কাজ সচল রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ প্রশাসনের কাছে।
রাজ্যের আরও খবরের জন্য ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল চ্যানেল। ক্লিক: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A