Justice Abhijit Ganguly : যোগেশচন্দ্র কলেজ মামলায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ খারিজ, পদে থাকছেন অধ্যক্ষ – calcutta high court reject single bench decision on jogesh chandra chaudhuri law college case


Calcutta High Court : বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশের অংশবিশেষ খারিজ। যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কার অপসারণের নির্দেশ খারিজ করল ডিভিশন বেঞ্চ। সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কাকে অপসারণ এবং তাঁর অফিসে তালাবন্ধ করার নির্দেশ খারিজ।

Calcutta High Court : মস্তানি করবেন না! হাইকোর্ট সতর্ক করল পাঁচ ছাত্রছাত্রীকে
কী জানাল আদালত?

আগামীকাল, বৃহস্পতিবার সকাল ৯ টায় আদালত নিযুক্ত স্পেশাল অফিসার অধ্যক্ষর অফিসের তালা খুলবেন, নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের। শুধুমাত্র টেলিফোনিক বাক্যালাপের মাধ্যমে অধ্যক্ষকে অপসারণের নির্দেশ জারি না করলেই পারত সিঙ্গেল বেঞ্চ, পর্যবেক্ষণে জানাল ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী শুক্রবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। তবে মূল মামলা ফেরত পাঠান হল সিঙ্গেল বেঞ্চে।

Calcutta High Court News : যোগেশ চন্দ্র ল কলেজ মামলায় নতুন মোড়, সরে দাঁড়াল ডিভিশন বেঞ্চ
অধ্যক্ষ অপসারণের নির্দেশ

আদালতের নির্দেশ মেনে কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত করা হয়নি বলে অভিযোগ তোলা হয়েছিল। যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কাকে পদ থেকে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। অধ্যক্ষ সুনন্দা ভট্টাচার্য গোয়েঙ্কা ছাড়াও আরও এক অধ্যাপককে সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, প্রভাব খাটিয়ে তাঁদের অনৈতিকভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল।

Justice Abhijit Ganguly : বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, ডিভিশন বেঞ্চে গেলেন যোগেশচন্দ্র ল কলেজের অধ্যক্ষ
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এর আগে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কলেজর অধ্যক্ষ সুনন্দা গোয়েঙ্কা, অধ্যাপক অচিনা কুণ্ডু এবং অভিযুক্ত বেশ কিছু ছাত্ররা। বিচারপতি সৌমেন সেনের ডিভিশন বেঞ্চে দ্বারস্থ হন তাঁরা। যদিও, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানান বিচারপতি। মামলার নম্বর দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের। মামলাটি এরপর হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চে যায়। তিনিও মামলা থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর সেই মামলা যায় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির ডিভিশন বেঞ্চে। তিনিও একই পথে হাঁটেন।

Jogesh Chandra Chaudhuri College: ‘কাজে বাধা…বাথরুম পর্যন্ত যেতে দেয় না!’ BJP করায় হেনস্থার অভিযোগ, ইস্তফা দিতে চান ল কলেজের অধ্যক্ষ
বহিরাগত ছাত্র নিয়ে সমস্যা

কলেজে কিছু বহিরাগত ছাত্রদের ‘দাপাদাপি’ নিয়েও অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল আদালতে। পাঁচ বহিরাগত ছাত্রকে এর আগে এজলাসে হাজির করানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কলেজের সঙ্গে তাঁদের যোগাসূত্র সম্বন্ধে জানতে চান। অভিযুক্ত পাঁচজন ছাত্রের মধ্যে একজন তৃণমূলের দক্ষিণ কলকাতা যুব সংগঠনের সহসভাপতি। কলেজের সঙ্গে তাঁদের কোনও যোগাযোগ নেই, তাঁরা বহিরাগত বলে জানান আদালতে। এরপর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে ‘মস্তানি করবেন না, দিনকাল খুব খারাপ’ বলেও মন্তব্য করতে শোনা যায়। মামলা চলাকালীন যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল’কলেজের প্রফেসর মাজুল হককে টিচার-ইন-চার্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মামলা না মেটা পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব সামলাবেন বলে জানানো হয়।

এই সময় ডিজিটালের হোয়াটস্যাপ চ্যানেল থেকে পান নিয়মিত আপডেট। রইল লিঙ্ক: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *