কী জানা যাচ্ছে?
বুধবার বিকেলে ইসিএলের কুনুস্তরিয়া এরিয়ার নারায়নকুড়ি খোলামুখ খনিতে হঠাৎই ধস নামে বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। খনির দেওয়ালে ফুটো করে কয়লা সংগ্রহ করছিলেন কয়েকজন স্থানীয় গ্রামবাসী। ধসের ফলে তারা চাপা পড়েছে বলে এলাকাবাসীরা। চাপা পড়ে মৃত্যু হওয়ার ঘটনায় আশঙ্কা ছড়ায় গোটা এলাকায়।
ঘটনাস্থলে যান অগ্নিমিত্রা
অন্যদিকে, রাতে নারায়নকুটি এলাকায় যান বিজেপির বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বেশ কয়েকটি পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন। পরিবারের লোকেরা অগ্নিমিত্রাকে সামনে পেয়ে ভেঙে পড়েন। অগ্নিমিত্রা পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে দাবি করেন বেশ কয়েকজন গ্রামবাসী চাপা পড়ে আছে। অবিলম্বে তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করতে হবে বলে তিনি দাবি করেন। পাশাপাশি উদ্ধারকার্যের দাবিতে ওই এলাকায় গভীর রাতে আন্দোলনে বসে পড়েন অগ্নিমিত্রা পাল।
পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পুরো বিষয়টি নিয়ে ইসিএলের কাছে জানতে চেয়েছেন। বুধবার রাতেই রানিগঞ্জ থানার পুলিশ জানায়, আমরা ইতিমধ্যে ইসিএলের রেসকিউ টিমকে ডেকেছি। গ্রামবাসীরা দাবি করছেন, সেখানে ধসে কয়েকজন নিখোঁজ হয়ে আছেন। অবশেষে ভোররাতে রানিগঞ্জের নারায়ণকুড়ি খনি থেকে উদ্ধার হল তিনজনের দেহ। আসানসোল দক্ষিনের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল সারারাত ধরে নারায়ণকুড়ি খনি এলাকায় ছিলেন। ভোরবেলায় উদ্ধার কাজ শেষ হওয়ার পরেই অগ্রিমিত্রা পাল খনি এলাকা থেকে ফিরেছেন। তাঁর দাবি, খনি থেকে একাধিক দেহ উদ্ধার হয়েছে পাশাপাশি তিনি এই ঘটনায় ইসিএল এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
কী বলেন অগ্নিমিত্রা?
অগ্নিমিত্রা জানান, রাত পর্যন্ত কোনও উদ্ধারকার্য শুরু হয়নি। ইসিএলের যে উদ্ধারকারী টিম তাঁরা আসেনি। পুলিশ প্রশাসন নির্বিকার। অনেক পরে উদ্ধার কার্য শুরু হয়। যদিও, অগ্নিমিত্রা দাবি করেছেন, আজকে সাতটি দেহ পাওয়া গিয়েছে। ভেতরে আরও কিছু দেহ আটকে আছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে কয়লা খনির ভেতরে এভাবে লোক ঢুকলেও প্রশাসনের তরফে এবং ইসিএল তরফে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
নতুন খবর জানতে পড়তে চান। শীঘ্রই জয়েন করুন এই সময় ডিজিটালের হোয়াটস্যাপ চ্যানেল। রইল লিঙ্ক: https://whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A