দুদিন পর মহালয়া। চুঁচুড়া শহরের রাস্তা এখনও খানাখন্দে ভরা। এলাকার পুজো কমিটিগুলোর সঙ্গে সমন্বয় বৈঠকে প্রশাসনের আশ্বাস ছিল মহালয়ার আগে ঠিক করা হবে রাস্তা। এক টানা কয়েক দিন বৃষ্টির কারণে রাস্তা সংস্কার শুরু করতে পারেনি KMDA। ব্যান্ডেল চার্চ, বালির মোড় ,স্ট্যান্ড রোড, তালডাঙা ,তোলাফটক, মিয়ারবের, নেতাজি সুভাষ রোড, টাউন গার্ড রোড, ব্যারাক রোডসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সব রাস্তায় বড় বড় গর্ত হয়ে রয়েছে। শুরু হয়েছে সংস্কারের কাজও। কিন্তু কাজের গতি দেখে মোটে সন্তুষ্ট নন চুঁচুড়ার তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার।
বৃহস্পতিবার চুঁচুড়া পুরসভার পূর্ত দপ্তরের সিআইসি সৌমিত্র ঘোষ, কেএমডিএ ও পূর্ত দফরের আধিকারিকদের নিয়ে শহরে বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে দেখেন তৃণমূল বিধায়ক। পরিস্থিতি দেখে রীতিমতো বিরক্তি প্রকাশ করেন অসিত। ধীর গতিতে রাস্তা সংস্কারের কাজ দেখে রাগ চেপে রাখেননি তিনি। তৃণমূল বিধায়কের দাবি, পুলিশ-প্রশাসন ও পূর্ত দফতরের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। এমনকী এই নিয়ে পূর্ত দফতরের এক্সিকিউটিভ অফিসারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন অসিত। চতুর্থী থেকে পঞ্চমীর মধ্যে রাস্তার কাজ শেষ করতে হবে, আধিকারিকদের এমনটাই জানিয়েছেন অসিত।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তৃণমূল বিধায়ক বলেন, ‘শনিবার মহালায়া। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে আজ থেকে পুজোর উদ্বোধন শুরু হয়ে যাচ্ছে। অথচ রাস্তা সংস্কারের কাজে কোনও গতি নেই। পুজো পুরোদমে শুরু হয়ে গেলে আর রাস্তার কাজ করা যাবে না। তাই চতুর্থী অথবা পঞ্চমীর আগে রাস্তার কাজ শেষ করতে হবে। প্রয়োজনে দিন রাত কাজ করতে হবে। আধিকারিকদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি তাঁদের এমনটা করার জন্য বলে দিয়েছি।’ হুগলি জেলা সদর চুঁচুড়ায় হবে দুর্গা পুজোর কার্নিভাল। সেই রুটও সংস্কার করতে হবে বলে জানান বিধায়ক।
রাস্তা সংস্কারের গতি নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যেও ক্ষোভ রয়েছে। এক দোকানদার বলেন, ‘রাস্তার কাজের জন্য খোঁড়াখুড়ি চলছে। দোকানের সামনে কয়েকদিন ধরে পাথর ফেলে রেখে। এতে ব্যবসার সমস্যা হচ্ছে।’ অন্যদিকে KMDA-র সাইট সুপারভাইজার সৌমেন রুদ্র বলেন, ‘বৃষ্টি থেমে যাওয়ার পর কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। আশা করছি কয়েকদিনে শেষ হয়ে যাবে।’