বাংলা খবর,প্রধান শিক্ষিকাকে কাজে যোগ দিতে বাধা, ‘পথের কাঁটা’ অভিভাবকরা! তমলুকের স্কুলে ‘রহস্য’ – tamluk school teacher stop by guardians to join as news hea mistress


স্কুলে নতুন প্রধান শিক্ষিকাকে ঢুকতে বাধা অভিভাবকদের, স্কুলের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকলেন শিক্ষিকা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুকে। সম্প্রতি সরকারি সিদ্ধান্তে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব পাওয়া শ্যামলী গুড়িয়া বেরা এই ঘটনায় হকচকিয়ে যান। এই ঘটনা চাউর হতেই জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

WB Primary School : ক্লাসরুমের চাবি কার কাছে? দায় ঠেলাঠেলি দুই শিক্ষকের
ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় কয়েকদিন আগেই ১৯১২ জনকে প্রধান শিক্ষকের নিয়োগপত্র প্রদান করা হয়েছিল। সেই মতো তমলুক থানার হোগলা গ্রামে অবস্থিত কৃষ্ণগঞ্জ প্রাথমিক স্কুলে আজ যোগ দিতে আসেন শ্যামলী গুড়িয়া বেরা। প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্ব নিতে এসে বাধার মুখে পড়েন তিনি। ওই স্কুলে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা ওই শিক্ষিকাকে স্কুলে ঢুকতে বাধা দেন। স্কুলের গেটে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। তাঁদের দাবি, বর্তমানে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকাকেই এই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা করতে হবে। পরে লিখিতভাবে গোটা বিষয়টি তাঁরা তমলুক গ্রামীণ চক্রের অবর বিদ্যালয়ের পরিদর্শক কার্যালয় এসআইকে জানান।

Smart Classroom Sundarban : সুন্দরবনের প্রত্যন্ত গ্রামের স্কুলেও স্মার্ট ক্লাস, বিশেষভাবে সক্ষম হয়েও স্বপ্নপূরণ ‘অর্ণব স্যার’-এর
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা নীলিমা জানা পড়ুয়াদের মধ্যে জনপ্রিয়। তিনি পড়ুয়াদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করেন। সেই কারণে তাঁকে ছাড়তে চান না পড়ুয়ারা।

কী বলছেন ভারপ্রাপ্ত ও বর্তমান প্রধান শিক্ষিকা?

স্কুলে যোগ দিতে আসা প্রধান শিক্ষিকা শ্যামলী গুরিয়া বেরা বলেন, ‘সরকারি নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই আমি আজ স্কুলে যোগ দিতে এসেছিলাম। কিন্তু অভিভাবকদের বাধার মুখে পড়তে হয়। আমাকে স্কুলের ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। আমি জোর করে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করিনি। গোটা ঘটনা এসআইকে জানিয়েছি।’

Howrah News : ছেলেকে বকুনি দেন শিক্ষক! কলার ধরে টেনে হেনস্থা বাবার, হইচই হাওড়ার স্কুলে
কৃষ্ণগঞ্জ স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকা নীলিমা জানা বলেন, ‘দীর্ঘদিন এই স্কুলে থাকার কারণে অভিভাবক ও পড়়ুয়াদের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। সেই কারণে আমি এই স্কুলে থাকতে চাই। বাড়ধুরপা স্কুলে বদলি করা হয়েছে। সেখান থেকে আমার বাড়ির দূরত্ব অনেকটাই বেশি। এই স্কুলে থাকলে সুবিধা হবে।’

কী বলছে প্রশাসন? তমলুক গ্রামীণ চক্রের অবর বিদ্যালয়ের পরিদর্শক কার্যালয়ের এসআই অরুণাভ হাজরাবলেন, ‘গোটা বিষয় সম্পর্কে আমরা জানি। স্কুলে সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা বিষয়টি জানিয়েছেন। অভিভাবকরাও লিখিতভাবে আমাদের কাছে বিষয়টি জানিয়ে গিয়েছেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, ডিআই এবং চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে। তাঁরা এখন পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন।’

জয়েন করুন এই সময় ডিজিটালের চ্যানেল : whatsapp.com/channel/0029Va9zh58Gk1Fko2WtDl1A



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *