কী জানা যাচ্ছে?
ভর সন্ধ্যায় সোনারপুরের বারেন্দ্রপাড়ায় একটি সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল এলাকায়। স্থানীয়রা জানান, দুটি বাইকে করে মোট চারজন আসে। তারা দোকানের ভিতর ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে লুটপাট চালায় বলে অভিযোগ। পালিয়ে যাওয়ার সময় বাইক আরোহী দুষ্কৃতিদের স্থানীয় অটোচালকরা ধরতে গেলে শুন্যে গুলি ছোঁড়ে তারা। ঘটনায় মুহুর্তের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এর আগেও সোনারপুরে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
কী জানাচ্ছে পুলিশ?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আশেপাশের রাস্তায় সিসিটিভির ফুটেজ মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, এদিন সন্ধ্যায় ওই গয়নার দোকানের সামনে এসে দাঁড়ায় দুটি বাইক। দোকানের ভেতরে ঢুকে প্রথমে দোকান মালিকের কাছ থেকে লকারের চাবি চাওয়া হয়। মালিক সেটা দিতে না চাইলে বন্দুকের বাট দিয়ে মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর কী হল?
এরপরেই চারজন দুষ্কৃতী দোকান থেকে সমস্ত জিনিস লুট করে পালিয়ে যায়। দোকানের বাইরে এসে বাইক চালানো শুরু করার সময় স্থানীয় এক অটো চালক আটকানোর চেষ্টা করেন। তখনই শূন্যে এক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয় বলেও অভিযোগ। দোকানের মালিক সজল পাড়ুই জানিয়েছেন, ওরা দোকানের ভেতরে ঢুকেও গুলি চালনার চেষ্টা করে কিন্তু চলেনি। আমায় মাথায় বন্দুক দিয়ে মেরে ফাটিয়ে দিয়েছে। এরপর লকারের চাবি কেড়ে নিয়ে লুট করে পালিয়ে যায় ওরা। দোকানের গয়না এবং ২ লাখ টাকা নগদ নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা বলে জানিয়েছেন দোকান মালিক।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় একটি গয়নার দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। খড়গপুরের গোলবাজারের একটি সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনার খবর উঠে আসে। রীতিমতো সিনেমার কায়দায় দুষ্কৃতীদের ধাওয়া করে ধরে পুলিশ। পালাতে গিয়ে ধান জমিতে লুকিয়ে পড়ে দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতী দলকে ঘিরে ফেলে পাকড়াও করে পুলিশ।
খবর পড়তে চান মোবাইলে? তাহলে জয়েন করুন এই সময় ডিজিটালের হোয়াটস্যাপ চ্যানেল, ক্লিক করুন এখানে