কী জানালেন দিলীপ?
দলের মধ্যেই অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে দিলীপ জানান, আগে কোনওদিন আমাদের দলে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। যাঁদের মধ্যে ক্ষোভ-বিক্ষোভ আছে তাঁদের নিয়ে কথা বলা উচিত। তাঁর কথায়, ‘সবাইকে সাজা দিয়ে ঠান্ডা করা যাবে না। শাস্তির ভয় দেখিয়ে সমাজ চলে না। যাঁরা আমাদের দলের বিক্ষুব্ধ তাঁরা আমাদের পরিবারের সদস্য। বসে কথা বলা উচিত।’
শুক্রবার সাত সকালে খড়্গপুরে চা চক্রে যোগ দেন দিলীপ ঘোষ। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একাধিক ইস্যুতে রাজ্যকে তোপ দাগলেন তিনি। ইতিমধ্যেই একশো দিনের কাজ নিয়ে বড় আন্দোলনের পথে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বিষয়টি নিয়ে দিলীপ জানান, আন্দোলন ছাড়া কিছুই করতে পারে না তৃণমূল। শিক্ষকরা, সরকারি কর্মচারীরা কেন বছর বছর বসে আছে রাস্তায়? উন্নয়ন করা, প্রশাসন চালানোর কোন ক্ষমতা নেই তৃণমূলের। আন্দোলনের নামে খালি মানুষকে বিভ্রান্ত করছে তৃণমূল বলে তাঁর দাবি।
কয়লা খনিতে মৃত্যু
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রানিগঞ্জে ইসিএলের খোলামুখ খনিতে ধস নেমে তিনজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। সেই প্রসঙ্গে দিলীপ জানান, পশ্চিমবাংলায় বেশি বেআইনি খনি চলে। যেখান থেকে শত শত কোটি টাকার কয়লা পাচার হয়। সেই কয়লা টাকার স্থানীয় তৃণমূল নেতা থেকে মন্ত্রী সবাই পায়। অনেকে মাটি চাপা পড়ে যায়, বার হয় না কখনো। রাজ্য সরকারের দায়িত্ব এ ধরনের অবৈধ কাজকে বন্ধ করা। তবে তাঁদের নেতৃত্ব জড়িত সেই কারণে রাজ্য সরকার অবৈধ উত্তোলন বন্ধ করতে চায় না।
ভার্চুয়ালি উদ্বোধন নিয়ে সমালোচনা
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার জেলার একাধিক পুজোর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন। এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। তিনি জানান, পিতৃপক্ষের পুজোর উদ্বোধন জীবনেও শুনিনি। আমাদের এখানে একাধিক পুজোর এখনও মণ্ডপ কাজ শেষ হয়নি। রাজ্যের কৃষ্টি, সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দিচ্ছে এই সরকার।
বিজেপির আরও খবর জানতে এই সময় ডিজিটালের হোয়াটস্যাপ চ্যানেল। ক্লিক করুন এখানে