Kamduni Case : ‘অনেকটা সাহস পেলাম…’, দিল্লি থেকে ফিরে কামদুনি নিয়ে সুবিচারের আশাবাদী মৌসুমী-টুম্পারা – kamduni case tumpa kayal express hope for real justice after returning from delhi


রাজ্যে ‘সুবিচার’ না পেয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন কামদুনি আন্দোলনের অন্যতম মুখ মৌসুমী-টুম্পারা। যে আশা নিয়ে গিয়েছিলেন, সেটা অনেকটাই পূরণ হয়েছে বলে দাবি করলেন তাঁরা। শুক্রবার সকালে কলকাতায় নেমেই টুম্পা বলেন, ‘অনেকটা সাহস পেলাম। দোষীরা যাতে কোনওভাবেই সাজা না পায়, তার জন্য শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করে যাব।’

কী জানালেন টুম্পা?

টুম্পা এদিন জানান, রাজ্যে কামদুনি কাণ্ডের রায় শুনে নিরাশ হয়ে গিয়েছিলাম। ওখানে গিয়ে মহিলা কমিশনের সঙ্গে কথা বলেছি। নির্ভয়ার মার সঙ্গেও কথা হয়েছে। টুম্পা বলেন, ‘কোথাও না কোথাও একটি আশা তৈরি হয়েছে। আমরা সুপ্রিম কোর্ট থেকেও নিরাশ হয়ে ফিরব না। সেই ভরসাটুকু আছে।’
তাঁর কথায়, যারা বাইরে আছে তারা যেন বাইরে না থাকতে পারে, তাদের যেন কঠোর শাস্তি হয় সেই আবেদন জানাবো সর্বোচ্চ আদালতে। দিল্লি সফর ‘সফল’ বলেই মনে করছেন কামদুনি প্রতিবাদীরা।

দিল্লি যাত্রা

গত বুধবার সকালে দিল্লিতে পৌঁছন কামদুনি কাণ্ডে নির্যাতিতার পরিজন, টুম্পা কয়াল, মৌসুমী কয়ালরা। গোটা টিমে ছিলেন শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায়, নির্যাতিতার দুই ভাই সহ আরও ৯ জন। দিল্লিতে গিয়ে যন্তরমন্তরে ধরনায় বসেন তাঁরা। সেখানে মৌসুমী টুম্পাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন নির্ভয়ার মা। তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন তিনি। আগামী দিনে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সাহস যোগান তিনি।

Kamduni Case Update : ‘লড়াই চালিয়ে যাও!’ কামদুনি নিয়ে মৌসুমী-টুম্পাকে অনুপ্রেরণা নির্ভয়ার মায়ের
বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব কী বললেন?

শঙ্কুদেব পাণ্ডা দিল্লি থেকে ফিরে জানান, যারা বেড়িয়েছেন তারা ব্যাগপ্যাক করুন, জেলে যেতে হবে। ওদেরকে কোনও ভাবেই ছাড়া হবে না এটুকু বলতে পারি। যারা এই কেসের পিছনে আছেন তাদেরকেও আইনিভাবে টানা হবে। মাস্টারমশাই প্রদীপ মুখোপাধ্যায় জানান, দিল্লিতে গিয়ে কোনওসময় মনেই হয়নি তারা দিল্লি তে আছেন দিল্লিবাসী সবসময় বাংলার খোঁজ রাখেন। অনেকেই হোটেলে এসেও খোঁজ নিয়েছেন। আশা করছি, আমরা আগামী দিনে লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব।

Kamduni Incident : ‘দোষীরা যদি কামদুনিতে ফেরে…’, প্রতিবাদী মৌসুমীর ‘ইঙ্গিত’ ঘিরে তোলপাড়
কামদুনি কাণ্ড

কামদুনি কাণ্ড নিয়ে কিছুদিন আগেই রায় শুনিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট রায়ে মৃত্যু দণ্ডপ্রাপ্ত একজন আসামীকে বেকসুর খালাস ও বাকি ২ সাজাপ্রাপ্তের মৃত্যুদণ্ড রদ করে দেওয়া হয়। তাদের আমৃত্যু কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই রায় নিয়ে কোনওভাবেই সন্তুষ্ট নয়, কামদুনির নির্যাতিতার পরিবার পরিজনদরা। সেই কারণেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার কথা ভাবছেন তাঁরা। যদিও এই মামলা নিয়ে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার।

নতুন খবরের জন্য এই সময় ডিজিটালের হোয়াটস্যাপ চ্যানেল। ক্লিক করুন



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *