Sonarpur News : পুজোর জামার টাকা বাঁচিয়ে নতুন বই! সরকারি স্কুলছাত্রীদের ‘সিদ্ধান্ত’ নিয়ে তুমুল চর্চা – sonarpur girls school students buy book from school book fair good news


পুজোর পোশাকের বাজেট ছেঁটে এবং বাড়ি থেকে টিফিনের জন্য বরাদ্দ আলুকাবলি বা আলুরদম না খেয়ে সেই টাকায় বই কিনল সরকারি স্কুলের পড়ুয়ারা। পুজোর ঠিক মুখে ছুটি পড়ার আগে ছাত্রীদের বইমুখী করতে বইমন মেলার আয়োজন করল সোনারপুরের একটি সরকারি গার্লস স্কুল। আর ছাত্রীদের এই উদ্যোগ নিয়েই শুরু হয়েছে চর্চা। এই খবর চাউর হতে ছাত্রীদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলে।

সোনারপুরের কামরাবাদ গার্লস স্কুলের পড়ুয়ারাই এখন চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। বইমেলা থেকে সত্যজিৎ রায়, অবনীন্দ্রনাথ্ ঠাকুর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আচার্য জনদীশ চন্দ্র বসু, ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়সহ জনপ্রিয় বিভিন্ন লেখকের বই সংগ্রহ করেছে ওই স্কুলের পড়ুয়ারা। স্কুলের শিক্ষিকা থেকে শুরু করে অভিভাবক, ছাত্রীদের এই উদ্যোগের প্রশংসা করছেন সকলেই।

সামনেই পুজোর লম্বা ছুটি৷ স্কুলের ছাত্রীরা ক্রমশ মোবাইল মুখী৷ পড়ার বই তো বটেই গল্পের বই, গোয়েন্দা গল্প বা কল্প বিজ্ঞানের গল্পে এখন আর খুব একটা আকৃষ্ট হয় না স্কুল পড়ুয়ারা। ছাত্রীদের বইমুখী করে তুলতে সোনারপুরের কামরাবাদ গার্লস স্কুলের পক্ষ থেকে স্কুলের মধ্যেই একটি বইমন মেলার আয়োজন করা হয়। সেই মেলাতেই ছাত্রীদের উপযোগী নানা বই রাখা হয়েছিল।

স্কুলের সামনে এমন বইমেলা পেয়ে খুশি ছাত্রীরাও। অনেককেই দেখা গেল মেলায় ঢুকে বিভিন্ন বই নাড়াচাড়া করতে। নতুন বইয়ের গন্ধ কারও মুখে ফুটে উঠেছিল হাসি। ছাত্রীরা জানিয়েছে, নতুন বই কেনার জন্য অনেকেই পুজোর জামাকাপড় কেনার খরচ কাঁটছাঁট করেছে। অনেকে ছাত্রীকেই আবার টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে এদিন বই কিনতে দেখা গেল।

বই কেনায় স্কুল ছাত্রীদের এই আগ্রহ দেখে দারুন খুশি কামরাবাদ গার্লস স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সোমা ঘোষ। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, আগামী দিনে এই ধরনের বইমেলা তিনদিন ধরে করার ইচ্ছে রয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের।

প্রধান শিক্ষিকাকে কাজে যোগ দিতে বাধা, ‘পথের কাঁটা’ অভিভাবকরা! তমলুকের স্কুলে ‘রহস্য’
একাদশ শ্রেণির ছাত্রী শ্রীপর্ণা সাহা বলে, ‘বইমেলার আয়োজনে আমরা দারুণ খুশি। সুভাষচন্দ্র বসুর উপর লেখা বই কিনেছি। অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা বই কিনেছি। পুজোর আগে এই বইমেলাতে আমরা বন্ধুরা সকলে মিলে মজাও করছি। পুজোর আগে আমরা অনেক নতুন নতুন জামা কিনি। সেখানে একটা জামা কম কিনে সেই টাকা বাঁচিয়ে বই কিনলে আমাদেরই লাভ। বই পড়লে জ্ঞান বাড়ে, একথা তো সকলেরই জানা।’

স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সোমা ঘোষ বলেন, ‘পড়ুয়াদের বই কেনার প্রতি এই আগ্রহ দেখে আমারে খুবই ভালো লেগেছে। আগামী দিনে এই ধরনের বইমেলা যাতে তিন দিন ধরে আয়োজন করা যায় আমরা সেই চেষ্টা করব। বই পড়া যে কতটা ভালো, সেকথা তো আমরা সকলেই জানি।’

এই সময় ডিজিটালের চ্যানেল জয়েন করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন….



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *