মহালয়াতেই আবাহন ও বিসর্জন! শুনেছেন এমন আশ্চর্য ‘ওয়ান-ডে’ দুর্গাপুজোর কথা?। One day Durga Puja on the day of Mahalaya in Asansol a very special kind of rituals


বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়: একদিনের দুর্গাপুজো! হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। একদিনেরই দুর্গাপুজো। এবং সেটা আজ, এই মহালয়াতেই হয়। মহালয়াতেই দেবীদুর্গার আবাহন আবার বিসর্জনও। একদিনের অভিনব এই পুজো হয় আসানসোলে দামোদর নদের তীরে। এখানে মা মহালয়াতেই আসেন, আবার মহালয়াতেই ফিরে যান। অভিনব এই একদিনের দুর্গা পুজো হয়ে আসছে ১৯৭৮ সাল থেকে।

 আরও পড়ুন: Durga Puja 2023: এখানে দুর্গা পূজিতা হন রুদ্ররূপে! ব্রাহ্মণ নয়, বাড়ির মহিলারাই করেন কুমারীপুজো…

আসানসোল হীরাপুরের ধেনুয়া গ্রামে আগমনী দুর্গাপুজো শুরু হয়ে যায় দেবীপক্ষেই। দামোদরের তীরে ধেনুয়া গ্রামে রয়েছে কালীকৃষ্ণ আশ্রম। নিয়ম মেনে আজ, শনিবার, মহালয়ার দিনে, ভোর থেকেই সেখানে শুরু হয় দুর্গা পুজো। আগে একই মন্দিরে অমাবস্যায় কালী পুজো হয়। তারপর দুর্গার আবাহন। এখানে একদিনেই সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী।

একদিনের অভিনব এই দুর্গা পুজো দেখতে বহু মানুষ দূরদূরান্ত থেকে আসেন ধেনুয়া গ্রামে। পুরোহিত জানান, চার রকমের ভোগ করতে হয় একদিনেই। দশমীর পুজোশেষে ঘট বিসর্জন হয়ে যায়। তবে মাতৃপ্রতিমা রেখে দেওয়া হয়।

কেন এরকম পুজো হয় এখানে? 

মন্দির কমিটির সম্পাদক সুবল খাঁ বলেন, এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা ও সেবাইত ছিলেন জ্যোতিন মহারাজ। তাঁর গুরুদেব তেজানন্দ ব্রহ্মচারী স্বপ্নাদেশ পেয়ে এই পুজো চালু করেছিলেন। 

সম্পাদক সুবল খাঁ জানান, তেজানন্দ ব্রহ্মচারী যখন দেবী দুর্গার স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন তখন দেবীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর দুই সখী জয়া ও বিজয়া। সেই রূপ দেখেই তেজানন্দ এখানে পুজো শুরু করেন। তিনি দেবী দুর্গাকে তাঁর দুই সখীর সঙ্গে দেখেছিলেন বলে এখানেও দুর্গা তাঁর দুই সখীকে নিয়েই পুজো পান। এবং পুজোটা হয় একদিনেরই। 

সুবল খাঁ যোগ করনে, তবে, এই দুর্গার দুপাশে তাঁর কোনও ছেলেমেয়ে থাকে না! অর্থাৎ, লক্ষ্মী সরস্বতী গণেশ কার্তিক কেউই এ পুজোয় মায়ের পাশে থাকে না। শুধু তাই নয়, দশভুজা এখানে সিংহবাহিনী হলেও অসুরদলনী নন। একেবারে প্রথমদিকে এই আগমনী দুর্গা ছিলেন অগ্নিবর্ণা, পরে তিনি হন শ্বেতশুভ্রা, এখন আবার তাঁর রং বাসন্তী। 

 আরও পড়ুন: Durga Puja 2023: মাত্র আড়াই ফুটের দুর্গা প্রতিমা! শান্তিপুর থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছে…

ধেনুয়া গ্রামের বাসিন্দারাও একদিনের এই পুজোতে মেতে ওঠেন। গ্রামবাসীরা বলেন, বাতাসে পুজো-পুজো গন্ধ আসতে না আসতেই শেষ হয়ে যাওয়ায় মনটা বিষণ্ণ হয়ে যায় সবার। এবার পুজো হতে আর সাতদিন বাকি। তার আগেই এখানে মায়ের আবাহন ও বিদায় হয়ে গেল। গ্রামবাসীরা জানান, তেজানন্দ ব্রহ্মচারীর সেবক জ্যোতিন মহারাজ তেজানন্দ মহারাজের সঙ্গেই এই পুজো শুরু করেন। সেই ১৯৭৮ সালেই। বছরপাঁচেক আগে জ্যোতিন মহারাজ মারা গিয়েছেন। এখন এই পুজো চালাচ্ছেন গ্রামের মানুষজনই।  ১৯৭৮ সালে পুজো শুরু হলেও, ১৯৩০ সালেই এই আশ্রমের প্রতিষ্ঠা!

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *