জেলার গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন স্থলগুলিতে ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বিশেষ পুলিশ বুথের। জেলার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘অযোধ্যা পাহাড়ের গুরুত্বপূর্ণ স্পটগুলিতে পুলিশ থাকছে। এছাড়া পর্যটকদের কাছে সহায় অ্যাপ রাখার অনুরোধ করা হচ্ছে। এতে আপৎকালীন ভিত্তিতে পুলিশি সহায়তা পাওয়া যাবে।’
নিম্নচাপের প্রভাবে তৈরি দুর্যোগ কেটে গিয়েছে। আকাশ এখন নীল। তাতে শরতের মেঘের আনাগোনা। বৃষ্টি ধোওয়া চারদিকের পাহাড় ও বন ঘন সবুজ। নদী, ঝোরাগুলো এখন জলে টইটম্বুর। সব দিকে দিয়েই সেজে উঠেছে প্রকৃতি। এমন পরিবেশ ট্যুরিস্টদের জন্য আদর্শ।
বাঘমুন্ডি লজ় ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুজিত কুমারের কথায়, ‘অযোধ্যা পাহাড় পর্যটকদের স্বাগত জানাতে সম্পূর্ণ তৈরি। ইতিমধ্যে বেশির ভাগ লজ় এবং রিসর্টে পুজোর দিনগুলিতে বুকিং সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। সিকিমে বিপর্যয়ের ফলে বহু মানুষ এখন নিজেদের গন্তব্য বদলে পুরুলিয়ামুখী হচ্ছেন।’
শুধু পুজোকেন্দ্রিক পর্যটকরাই নন, শিক্ষামূলক ভ্রমণের জন্য বহু কলেজ এবং স্কুল সিকিমে যাওয়ার পরিকল্পনা স্থগিত রেখে পুরুলিয়া আসার চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দিয়েছে। এই মুহূর্তে কলকাতার বাঘাযতীন সম্মিলনী মহাবিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের ৩৭ জন ছাত্র-ছাত্রী এবং সাত জন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সিকিমের বদলে অযোধ্যা পাহাড়ে ঘুরছেন।
বিভাগীয় প্রধান কামনাশিস মিস্ত্রী বলেন, ‘সিকিম বাতিল করে সোজা অযোধ্যা পাহাড়ে চলে এলাম। পুরুলিয়ায় এসে সবাই খুব খুশি। পাহাড়কে নতুন করে পাওয়া গেল।’ সরকারী সংস্থা সিএডিসি-র পুরুলিয়া শাখার প্রধান সুশান্ত খাটুয়া জানান, তাঁদের অতিথি নিবাসে দেড়শো জন পর্যটকের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। পুজোর মরশুমে তার সব ঘর বুক হয়ে গিয়েছে।
অযোধ্যা পাহাড়ের একেবারে বিপরীতে গড়পঞ্চকোটের রিসর্টগুলিতেও এখন আর নতুন করে বুকিং নেওয়া হচ্ছে না। পাহাড়ের কোলে থাকা একটি রিসর্টের ম্যানেজার স্বরূপ পতি বলেন, ‘প্রতি বছর পুজোয় পর্যটকরা পুরুলিয়া বেড়াতে আসেন। এ বছর আগে থেকেই বুকিং হয়ে গিয়েছে। এখন আর জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়।’
বড়ন্তির রিসর্টগুলিও পুরোপুরি ‘অকুপায়েড’। এখানকার একটি রিসর্টের ম্যানেজার ভ্রমর গোপ বলেন, ‘এ বছর পর্যটকদের ঢল নামতে চলেছে আমাদের এলাকায়। ভালোই ব্যবসা হবে বলে আমরা আশাবাদী।’
