কী জানা যাচ্ছে?
ফের সিউড়ির জনবহুল এলাকায় বোমাবাজি। এবার সিউড়ি 11 নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যাপীঠ স্কুলের কাছে ফাটলো বোমা। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত 11.30 নাগাদ সিউড়ির ১১ নম্বর ওয়ার্ডের রুটিপাড়ায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতের অন্ধকারে প্রায় চারটি বোমা চার্জ করে দুষ্কৃতীরা। তার মধ্যে তিনটি বোমা ফাটলেও একটি বোমা ফাটেনি। সেটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় সিউড়ি থানার পুলিশ।
পুলিশের তল্লাশি শুরু
ডিএসপি ডিএন্ড টি ও সিউড়ী থানার আইসির নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। রাত জেগেই চলে দুষ্কৃতীদের সন্ধানে তল্লাশি। এই ঘটনায় আটকও করা হয় একাধিক জনকে। তবে শহরের বুকে এই প্রথমবার নয় বুধবার সিউড়ির সোনাতোর পাড়ায় রাতের অন্ধকারে বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। ঠিক তার পরের দিনে অর্থাৎ বৃহস্পতিবার চাঁদনী পাড়ার একটি ঝোপের ভেতর থেকে উদ্ধার হয় তাজা বোমা ।
একের পর এক বোমাবাজি
এছাড়াও বেশ কয়েক বছর আগেও জেলাশাসকের বাংলোয় বোমা মারার ঘটনা ঘটেছিল। গ্রেফতার করা হয়েছিল বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতীকে। সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। পুজোর মুখেই একের পর এক বোমাবাজির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, পুলিশ সুপারের অফিসের কাছেই এরকম বোমাবাজি ঘটলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়? দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের এলাকায় দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। পুলিশের আরও নজরদারি বাড়ানো উচিত।
প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলার সদর শহর সিউড়ি। এখানে রয়েছে লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। রয়েছে জেলার প্রশাসনিক ভবন, পুলিশ সুপারের অফিস সহ বিভিন্ন সরকারি দফতর। সেই প্রশাসনিক ভবন, পুলিশ সুপারের অফিস থানা থেকে মাত্র দুই কিলোমিটার এর মধ্যে পাঁচ দিনে দুইবার বোমাবাজির ঘটনা ও একবার বোমা উদ্ধার। এইরকম একটি জনবহুল শহরে কেন বারংবার ঘটছে বোমাবাজির ঘটনা ? কেন বারুদের গন্ধে ভয়ে ভয়ে হয়ে থাকতে হচ্ছে শহরবাসীকে? পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ঠিক এমনই প্রশ্ন তুলছেন সাধারণ মানুষ।
বীরভূম জেলার সমস্ত খবর জানতে এই সময় ডিজিটালের হোয়াটস্যাপ চ্যানেল, ক্লিক করুন এখানে