Durga Puja 2023 : ভেড়ার লোমের আসনের চাহিদা বাড়ে দুর্গাপুজোয় – purba bardhaman kalna artists are busy making special seat ahead of durga puja


এই সময়, কালনা: রাজ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে ভিন প্রদেশে চাহিদা রয়েছে পূর্বস্থলীর পাটুলির ভেড়ার লোম থেকে তৈরি পুজোর আসন ও কম্বলের। এই আসন ও কম্বল যায় বাংলাদেশেও। পাটুলির ভাগীরথীর পাড় বরাবর ভকতপাড়ার প্রায় ৮০টি পরিবার এই শিল্পের সঙ্গে জড়িয়ে। পুজোর সময় ব্যাপক চাহিদা হয় এই আসন ও কম্বলের। ফলে এখন নাওয়া খাওয়ার সময় নেই শিল্পীদের। বাড়িতে বাড়িতে শিল্পীরা ব্যস্ত আসন ও কম্বল তৈরির কাজে।

ভেড়ার লোম সংগ্রহ করে তা থেকে সুতো তৈরি করে হাতে এবং হস্তচালিত তাঁতযন্ত্রের মাধ্যমে তৈরি করা হয় এই আসন ও কম্বল। পুরুষদের সাহায্য করেন পরিবারের মহিলারাও। শিল্পী শ্যামল ভকত বলেন, ‘আগে এলাকা থেকে চাহিদা মতো ভেড়ার লোম পাওয়া যেত। এখন সেটা হচ্ছে না। ফলে বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে আনতে হয় ভেড়ার লোম।’ বিহার থেকে ভেড়ার পাল চড়তে চড়তে চলে আসে বাঁকুড়া ও পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকায়। ওই সময় শিল্পীরা গিয়ে ভেড়ার লোম সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন। তার পর তা ভালো করে ধুয়ে শুকোনোর পর ধোনা হয়। লোমের রং অনুযায়ী আলাদা করে তৈরি করা হয় সুতো।

সুতো কাটার জন্য ব্যবহৃত হয় চরকা। সেই সুতো দিয়ে তৈরি করা হয় আসন ও কম্বল। পুজো, উপনয়ন, শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে ব্যবহৃত হয় এই আসন। আসনের দাম ডজন প্রতি ১৪৪ টাকা থেকে ৮৪০ টাকা। শিল্পী সনৎ ভকত বলেন, ‘এই কম্বলে খুব গরম হয়। তাই যে সব রাজ্যে খুব ঠান্ডা পড়ে সেখানে এই কম্বলের চাহিদা রয়েছে।’

Bonedi Bari Durga Puja : শতবর্ষে হাওড়ার বসু মল্লিক পরিবারের পুজো, স্পেশাল কী কী থাকছে?
শিল্পীরা জানাচ্ছেন, পানিপথের তৈরি নরম কম্বল বাজার দখল করলেও এখানকার কম্বলের চাহিদা এখনও কমেনি। কলকাতার মহাজনের মাধ্যমে এই কম্বল যায় বিভিন্ন রাজ্যে। হাবড়ার এক মহাজনের মাধ্যমে এখন আসন ও কম্বল যাচ্ছে বাংলাদেশেও। সেখানে ভালো বাজার মিলছে।

শিল্পী প্রদীপ ভকত বলেন, ‘আসন ও কম্বলে নকশা তৈরির জন্য ভিন্ন ভিন্ন রঙের লোমের ব্যবহার করা হয়। বোনার পর জমাটি ভাব আনতে তৈরি হওয়া আসন ও কম্বল বেশ কিছুটা সময় ধরে চটকাতে হয়। পুজোর সময় আসনের চাহিদা বাড়ে। ভালো দরও মেলে। তাই এই সময়ে নাওয়া খাওয়ার সময় মেলে না।’ তবে বিপণনের সরাসরি সুযোগ পেলে লাভবান হবেন শিল্পীরা। কলকাতার মহাজনরাই আসন ও কম্বল কিনে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় পাঠান। সরাসরি যাতে তাঁরাই বাজার তৈরির সুযোগ পান তার আর্জিই জানাচ্ছেন পাটুলির শিল্পীরা।

রাজ্য এবং জেলার সব খবর জানার জন্য ক্লিক করুন



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *