তবে এই মুহুর্তে বেশিরভাগ যাত্রীরাই তাকিয়ে রয়েছেন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের দিকে। কারণ এই মেট্রো প্রকল্প সম্পূর্ণরুপে তার প্রস্তাবিত রুটে চালু হয়ে গেলে কলকাতা শহরের পরিবহণ ব্যবস্থায় এক আমূল পরিবর্তন দেখা দেবে৷ খুব অল্প সময়ে কলকাতার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে পৌঁছে যেতে পারবেন যাত্রীরা। এর ফলে কলকাতা ও হাওড়ার যোগাযোগও খুব দ্রুত এবং সুবিধাজনক হবে।
ডিসেম্বর লক্ষ্যমাত্রা
এই বিষয়ে রবিবার মেট্রোর তরফে দেওয়া এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যেই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো প্রকল্পের অধীনে সল্টলেক সেক্টর ফাইভ থেকে শিয়ালদা পর্যন্ত চালু হয়েছে পরিষেবা। জোরকদমে চলছে প্রস্তাবিত রুটের বাকি অংশের কাজ। সম্প্রসারণের কাজও প্রায় শেষের দিকে। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শেষ মুহুর্তের কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা চলছে। ওই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়েছে, চলতি বছরের মধ্যেই বেশ কিছু সম্প্রসারণের কাজ শেষ করে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কলকাতা মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এই ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে অনায়াসেই সেক্টর ফাইভ থেকে হাওড়া ময়দান পৌঁছে যাওয়া যাবে গঙ্গার নীচ দিয়ে।
গঙ্গার তলা দিয়ে যেতে সময় লাগবে ৪৫ সেকেন্ড
মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছে, ইস্ট ওয়েস্ট করিডোরে প্রস্তাবিত রুটটির দৈর্ঘ্য ১৬.৫৫ কিলোমিটার। যার মধ্যে, ইতিমধ্যেই ৯.৩০ কিলোমিটারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। চলতি বছর ডিসেম্বরে মাসের মধ্যে ৪.৮০ কিমি এবং আগামী বছর জুন মাসের মধ্যে অবশিষ্ট ২.৪৫ কিলোমিটার মেট্রো লাইনের কাজ সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে পুরো ১৬.৫৫ কিলোমিটার মেট্রো লাইনের মধ্যে ৫২০ মিটার পথ গঙ্গার তলা দিয়ে সুড়ঙ্গ পথে চলবে মেট্রো। আর গঙ্গার তলা দিয়ে এই দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় লাগবে মাত্র ৪৫ সেকেন্ড। প্রসঙ্গত, নব মহাকরণ থেকে হাওড়া মেট্রো স্টেশনের মাঝে পড়বে গঙ্গা নদী।
‘সব কিছু রেডি’
গঙ্গার তলা দিয়ে মেট্রো চালানোর বিষয়ে সিপিআরও কৌশিক মিত্র বলেন, ‘এমদমই, ডিসেম্বরের মধ্যেই টার্গেট আমাদের। আমাদের সবকিছুই রেডি। ছোট ছোট কিছু কাজ আছে, তার জন্য ডিসেম্বর পর্যন্ত আমরা সময় নিয়েছি।’
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এখানে।