কী জানা যাচ্ছে?
বহু সময় কুকুরে কামড়ানোর থেকে জলাতঙ্কের আতঙ্ক তৈরি হয়। তাই এবার পুজো শুরুর আগেই রাস্তার কুকুর বিড়ালদের কামড়ে যাতে কোনও মারাত্মক শারীরিক সমস্যা তৈরি না হয় তার জন্যই এই উদ্যোগ বলে জানা গিয়েছে। প্রাণী চিকিৎসকদের সর্ববৃহৎ সংগঠন ওয়েস্ট বেঙ্গল ভেটেরিনারি অ্যালামনি অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এদিন এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় মধ্যমগ্রাম এলাকায়।
বিধায়কের উদ্যোগ
বিশ্ব জলাতঙ্ক প্রতিরোধ দিবসে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য ও সরবরাহ দফতরের ভারপ্রাপ্ত তথা মধ্যমগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ এর ঐকান্তিক ইচ্ছায় ও উপস্থিতিতে মধ্যমগ্রাম পুরসভার সঙ্গে ওয়েস্টবেঙ্গল ভেটেরনারি অ্যালমনি অ্যাসোসিয়েশনের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেই চুক্তি অনুযায়ী মধ্যমগ্রাম পুরসভাকে জলাতঙ্ক মুক্ত পুরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে এই অঞ্চলের সমস্ত পথ কুকুরদের বিনা পয়সায় অ্যান্টি র্যাবিস ভ্যাকসিন প্রদান ও নির্বীজকরণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
জলাতঙ্ক মুক্ত পুরসভা গড়ার ডাক
এদিন পুরসভার অন্তর্গত ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের পথ কুকুরের ভ্যাকসিন প্রদানের মাধ্যমে এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এছাড়াও ছিলেন মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ, ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধি অরূপ ঘোষ সহ পুর পারিসাদরা। এলাকার প্রায় শতাধিক কুকুর বেড়ালদের এদিন ভ্যাকসিন দেওয়া হয় বলেও জানা গিয়েছে।
সকলে মিলে সমাধান
শুনতে সহজ মনে হলেও যথেষ্ট কঠিন এই কাজ। যা ওয়েস্ট বেঙ্গল ভেটেরিনারি অ্যালামনি অ্যাসোসিয়েশন ও মধ্যমগ্রাম পুরসভার চ্যালেঞ্জ হিসেবেই গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে দিয়েই দৃষ্টান্ত তৈরিরও আশা রাখছেন সংগঠনের সদস্যরা। আর তার জন্যই এই কর্মসূচির স্লোগানে তুলে ধরা হয়েছে,’জলাতঙ্কের অবসান সকলে মিলে সমাধান।’ স্থানীয় বাসিন্দাদেরও এই উদ্যোগে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। আগামী দিনে যাতে এই পুরসভা জলাতঙ্ক মুক্ত হয় সে ব্যাপারেই উদ্যোগ নেওয়া হল জানায় পুরসভা। পাশাপাশি, রাস্তার কুকুর, বিড়ালদের মতো অবলা প্রাণীদের দেখাশোনারও দায়িত্ব নেওয়া উচিত বলে বার্তা দেওয়া হয় এদিনের অনুষ্ঠানে।
নতুন খবর পড়ুন মোবাইলে, এই সময় ডিজিটালের হোয়াটস্যাপ চ্যানেল, ক্লিক করুন এখানে