Bakkhali Sea Beach : খাঁ খাঁ সমুদ্র সৈকত, পুজোয় নেই বুকিং! ‘মুখ গোমরা’ রাজ্যের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রের – bakkhali and mousuni island no booking during the durga puja days


পুজোর সময় দার্জিলিং, দিঘা, বকখালি বা ডুয়ার্সের মতো রাজ্যের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলিতে থিকথিকে ভিড় থাকার ছবি চোখে পড়ে। ইতিমধ্যেই সবার পুজোর বুকিং সাড়া। শুরু হয়েছে গিয়েছে গোছগাছও। কিন্তু পুজোর এই ভরা মরশুমে রাজ্যে অন্যতম জনপ্রিয় এক পর্যটনকেন্দ্রে ধরা পড়ল ভিন্ন ছবি। পুজোয় মৌসুনি ও বকখালিতে সেভাবে বুকিংই হয়নি বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সারাবছর ধরে পুজোর অপেক্ষায় বসে থাকা ব্যবসায়ীদের মুখ ভার।

কলকাতার খুব কাছে অবস্থিত বকখালি এক সময় বাঙালি অন্যতম পছন্দের উইকএন্ড ডেস্টিনেশন ছিল। কিন্তু বিগত কয়েক বছরে ক্রমেই ফিকে হয়েছে বকখালির জনপ্রিয়তা। এবার পুজোয় বুকিংয়ের অবস্থা প্রায় তথৈবচ। পুজোর এই ভরা মরশুমে খাঁ খাঁ করছে বকা হোটেল মালিকরা জানিয়েছেন, প্রত্যেকবার পুজোয় বকখালিতে ঘরের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। ঘন ঘন বাজতে থাকে হোটেলের ফোন। কিন্তু এবার চেনা ছবির সঙ্গে মিল খুঁজে পাচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছে, বুকিংয়ের আশায় গোটা দিন ওয়েবসাইটে চোখ রাখছেন। কিন্তু সব শেষে একরাশ নিরাশা নিয়ে তাঁদের বাড়িতে ফিরতে হচ্ছে। একই অবস্থা বকখালির অদূরে অবস্থিতি মৌসুনী দ্বীপেও। সেখানেও কটেজ বুকিং প্রায় হয়নি বলে জানিয়েছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা। সব মিলিয়ে মৌসুনি আইল্যান্ড নামের পর্যটন কেন্দ্রে ৫৫টির মতো কটেজ রয়েছে।

বকখালি-ফ্রেজারগঞ্জ হোটেলিয়ার ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সহ সম্পাদক দেবরাজ জানা বলেন, ‘এবার পুজোয় হয়নি বুকিং। যেসব পর্যটকরা ঘর বুক করেছিলেন, তাঁরা বাতিল করে দিয়েছেন। আগে পর্যটকরা ফোন করে ঘরের খোঁজ নিতেন, এখন তাও নিচ্ছেন না। একটা সময় ছিল যখন পুজোর সময় ঘর পাওয়া যেত না। এখন আর কোনও পর্যটকই নেই।’

West Bengal Tourism: হোটেল, লজে বুকিং প্রায় শেষ মুকুটমণিপুর ও বিষ্ণুপুরে, পুজোর ৪ দিন ডেস্টিনেশন বাঁকুড়া
অন্যদিকে মৌসুনি দ্বীপের বুকিং নিয়ে হতাশ সেখানকার ব্যবসায়ীরা। মৌসুনি দ্বীপ ক্যাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি চয়ন ভট্টাচার্য বলেন, ‘পুজো প্রায় চলে এল, এখনও মাত্র ৩০ শতাংশ কটেজ বুক হয়েছে। অন্যান্য বছর পরিস্থিতি এত খারাপ থাকে না। কেন পর্যটকরা এবার মৌসুনি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন জানি না। এই মরশুমে আমাদের বিরাট লোকসান হবে। এই মন্দার বাজারে তা কী ভাবে সামাল দেব জানি না। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন রয়েছে, যদি হাল ফেরে তবে ভালো। এরপর কী হবে ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছি না।’

ফলো করুন এই সময় ডিজিটালের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল। এখানে ক্লিক করুন



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *