কী জানা যাচ্ছে?
দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুরে সোনারপুরের বাসিন্দা ছিলেন কৃষ্ণা দে। প্রথমার দিন রাতে তাঁর বাড়িতে ঢুকে কৃষ্ণার গলায় ছুরি চালিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। রাত দশটা নাগাদ শুভেন্দু কৃষ্ণার বাড়িতে আসে। ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপরেই কৃষ্ণার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে অভিযুক্ত শুভেন্দু। কৃষ্ণার চিৎকার শুনে ছুটে আসেন পরিবারের সদস্যরা। কোনও রকমে ঘরের দরজা খুলে তাঁরা দেখেন, কৃষ্ণা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। অন্যদিকে, শুভেন্দু অসংলগ্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল তাঁর।
আর কী জানা যাচ্ছে?
ঘটনার পরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। পুজোর মুখেই এহেন ঘটনায় আতঙ্কিত এলাকাবাসী। পরিবারের লোকজন কৃষ্ণাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে দেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশ জানিয়েছে, শুভেন্দু কৃষ্ণাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরে নিজে বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে।
পরিবার কী জানাল?
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুভেন্দু ও কৃষ্ণার মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাঁরা কিছুদিন আগে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করে। তবে কয়েকদিন ধরেই তাঁদের সম্পর্কে ফাটল ধরেছিল। বনিবনা হচ্ছিল না দুজনের মধ্যে বলে দাবি পরিবারের সদস্যদের। কৃষ্ণা এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিল।
তবে, শুভেন্দু এ বিষয়ে নারাজ ছিল। সেখানেই থেকেই দুজনের মধ্যে তিক্ততা তৈরি হয়। টালিগঞ্জ থেকে বেহালা রুটে শুভেন্দু অটো চালাতো বলে জানা গিয়েছে। এহেন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনায় দুই পরিবারের শোকের ছায়া। পুজোর মুখে এরকম একটি ঘটনায় হতচকিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহের পাতুলিয়ার এরকম একটি ঘটনা ঘটে। স্ত্রীকে হত্যা করে আত্মঘাতী হন স্বামী। বাড়ি থেকে দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দাম্পত্য কলহ থেকেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হয়।
কলকাতা থেকে রাজ্য সব খবর সবার আগে, এই সময় ডিজিটালের হোয়াটস্যাপ চ্যানেল, ক্লিক করুন এখানে