পায়ে পায়ে প্যান্ডেল
ভিড়ের আভাস পাওয়া গিয়েছিল মহালয়ার দিন থেকেই। ওপেনিংয়েই সেঞ্চুরি হাঁকায় শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাবের ডিজনিল্যান্ড। মহালয়াতেই নবমীর রাত নেমে আসে সুজিত বসুর পুজো মণ্ডপে। নাকতলা উদয়ন সংঘ, চেতলা অগ্রণী ক্লাব, বাবুবাগান, বাদামতলা আষাঢ় সংঘ, সুরুচি সংঘ থেকে শুরু করে কলকাতার নামী একাধিক পুজোর উদ্বোধন ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা থেকেই একাধিক পুজো দর্শনার্থীদের জন্য খুলেও দেওয়া হয়।
ভিড় সামলাতে বিশেষ ব্যবস্থা
জনস্রোতের ঢেউ যে দ্বিতীয়া, তৃতীয়া থেকেই আছড়ে পড়বে কলকাতা শহরে সেই সম্বন্ধে নিশ্চিত ছিল কলকাতা পুলিশ। এরপরেও রবিবারের সন্ধ্যায় বাইপাস, ভিআইপি রোড ট্রাফিক সামলাতে গিয়ে নাজেহাল হতে হয় পুলিশকে। এয়ারপোর্ট গামী গাড়ি গুলিকে বাধ্য হয়ে চিংড়িঘাটা ফ্লাইওভার থেকে নিউটাউনের রাস্তা ধরার পরামর্শ দেওয়া হয়। সোমবারও চিত্রটা প্রায় একই ছিল সন্ধ্যার পর থেকে।
নক্ষত্রখচিত দ্বিতীয়া
সোমবার উত্তর কলকাতায় সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো উদ্বোধনে আসেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। সোমবারই কলকাতায় রাম মন্দির দেখতে মানুষের ঢল নামে। মঙ্গলবার থেকে সেই ভিড় আরও বাড়বে বলেই মনে করছেন উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি, ব্রাজিলিয়ান ফুটবল তারকা রোনাল্ডিনহো রয়েছেন শহরে। একাধিক পুজোয় উপস্থিত ছিলেন। পুজোর পাশাপাশি ফুটবল প্রেমীদের তাঁকে দেখার বাড়তি উন্মাদনা ছিল।
১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক
গত বছর পুজোর ভিড় সামলাতে প্রায় দশ হাজার সেছাসেবক ভাড়া নেওয়া হয়েছিল কলকাতা পুলিশের তরফে। এবার সেই সংখ্যাটা আরও পাঁচ হাজার বাড়ানো হয়েছে। দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে এবার প্রায় ১৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ভিড় সামলানোর কাজ করবে। বর্তমানে কলকাতা পুলিশে মোট ১৪ হাজারের কাছাকাছি পুলিশ কর্মী রয়েছেন। পুজোর দিনগুলিতে লাখ লাখ মানুষের ভিড় সামলাতে তাই বাড়তি স্বেচ্ছাসেবকের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ বছরের পুজোতে গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি সংখ্যক বিদেশি আসবেন বলেও জানা গিয়েছে। নামী পুজো মণ্ডপগুলিতে বিদেশি প্রতিনিধিরা গেলে যাতে তাঁদের বিশেষভাবে অ্যাপায়ন করা হয়, সে ব্যাপারেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুজো কমিটিগুলোকে। পাশাপাশি, বাইক আরোহীদের জন্যেও বিশেষ নির্দেশ রয়েছে পুলিশের। বাইক পার্কিং, হেলমেট পরার ব্যাপারেও এবার কড়াকড়ি করবে পুলিশ।
শারদ উৎসবে মাতোয়ারা বাঙালি, দুর্গাপুজোর সমস্ত খবর-ছবি-ভিডিয়োর জন্য ক্লিক করুন এখানে