শনিবার রাতে কাকা সজল বর্মনকে নিয়ে মোটর সাইকেলে দলগাঁও বস্তির বাড়িতে ফিরছিলেন তাপস। রাতের অন্ধকারে পথের বাঁকে চিতাবাঘটি যে চা-বাগানে ঝোপের আড়ালে শাবক সমেত ঘাপটি মেরে রয়েছে, তা টের পাননি তিনি। হঠাৎই চলন্ত বাইকের উপরেই ঝাঁপিয়ে পড়ে লেপার্ডটি। এর পর চা-বাগানের মধ্যে সেঁধিয়ে যায়।
জখম তাপসের কাকা সজল বর্মন বলেন, ‘আচমকাই চিতাবাঘটি আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাতে আমার ভাইপো গুরুতর জখম হয়। বরাত জোরে আমি বেঁচে যাই। এখনও সেই আতঙ্ক কাটছে না।’ জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের সহকারী বন্যপ্রাণী সংরক্ষক নভোজিত দে বলেন, ‘চা-বাগান এলাকাগুলিতে চিতাবাঘের উপস্থিতির কথা সবারই জানা রয়েছে। ফলে রাতবিরেতে যাতায়াতের সময় সাবধান থাকতে হবে। জখম ব্যক্তির চিকিৎসার সমস্ত দায়ভার নিয়েছে বন দফতর।’
গত দেড় মাসে আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ও মাদারিহাট ব্লকের তিনটি চা-বাগান সংলগ্ন লোকালয়ে লেপার্ডের হানায় এক বৃদ্ধা ও দুই নাবালকের মৃত্যু হয়েছে। বছর খানেক আগেও রাতে বীরপাড়া থেকে দুই সঙ্গীর সঙ্গে বাইকে চেপে জটেশ্বরের বাড়িতে ফেরার সময় দলগাঁও চা-বাগানের কাছে চলন্ত বাইকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এক তরুণীর উরুর মাংস খুবলে নিয়েছিল একটি চিতাবাঘ। এ দিনের ঘটনার পর ফের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
