রাজ্য সরকারের তরফে বার্ধক্য ভাতার আলাদা পরিষেবা রয়েছে। সেই ঘোষণার পর নিয়ম অনুযায়ী লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থাকলে এখন থেকে ৬০ বছর পেরিয়ে গেলে আলাদা করে সেই পরিষেবা পেতে আবেদন করতে হবে না। আবেদনপত্র পূরণ না করলেও নাম উঠে যাওয়া কথা।
কী বলছে সরকারি নিয়ম?
জেলা প্রশাসনের কর্তারা বলছেন, এখনও অবধি সরকারি যা নিয়ম তাতে কাউকে কোথাও যেতে হবে না, বয়স ৬০ পেরোলে নাম বার্ধক্য ভাতাতে স্বাভাবিক নিয়মেই ওঠে যাবে। এভাবে একাধিক জনের নাম ইতিমধ্যেই উঠে গিয়েছে, যাঁদের নাম ওঠেনি তাঁদের তা অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাওয়া উচিত। গোটাটাই পোর্টালের মাধ্যমে হচ্ছে ফলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
অনেকটা সময় পেরিয়ে গেলেও না হলে কী করণীয়?
প্রশাসনের কর্তারা বলছেন, ৬-৭ মাস পেরিয়ে গেলেও যদি টাকা কেউ না পান তবে বিডিও অফিস অথবা পুরসভায় গিয়ে জানানো যেতে পারে। এছাড়াও সরকারি হেল্পলাইন অথবা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেও বিষয়টি জানানো হয়েছে। নম্বরটি হল, ৯১৩৭০৯১৩৭০। সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা অবধি চালু থাকবে পরিষেবা।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প কী?
মুখ্যমন্ত্রীর সাধের প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। ২৫ থেকে ৬০ বছর বয়সী, এই রাজ্যের বাসিন্দা যে কোনও পরিবারের মহিলা সদস্যরা এই প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন। তফসিলি জাতি বা জনজাতি পরিবারের মহিলা মাসিক ১০০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি বা তফসিলি জনজাতি ছাড়া অন্য পরিবারের মহিলা সদস্য মাসে ৫০০ টাকা করে ভাতা পাবেন।
বার্ধক্যভাতার ক্ষেত্রে এ রাজ্যে কী নিয়ম?
যেসব ব্যক্তির বয়স ৬০ বছর বা তার বেশি, বর্তমানে কোনওরকম কাজ করার বা উপার্জন করার ক্ষমতায় নেই, সরকারের তরফ থেকে সেই সমস্ত অসহায় ব্যক্তি বা মহিলাদের সাহায্য করার জন্য এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। বার্ধক্য ভাতার আওতায় ‘জয় জোহর’ তফসিলি জনজাতির জন্য ছিল আর তফসিলি জাতিভুক্তদের জন্য ছিল ‘তফসিলি বন্ধু’। এঁদের কারও বয়স ৬০ বছর হলে ভাতা দিত রাজ্য সরকার৷ সমাজের সকল স্তরের মানুষের জন্য এই সুবিধা উপলব্ধ ছিল না৷ কিন্তু, পরে সমস্ত প্রবীণ মানুষদের জন্যই চালু হল এই বার্ধক্য ভাতা৷ এই ব্যক্তিরা ১০০০ টাকা করে মাসে পাবেন।
রাজ্যের নানান সরকারি প্রকল্প নিয়ে বিস্তারিত জানতে অবশ্যই ফলো করুন এই সময় ডিজিটালের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল।
