আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দক্ষিণ-পূর্ব এবং পূর্ব মধ্য আরবসাগরে এই ঘূর্ণাবর্ত আরও শক্তিশালী হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হবে। ২১ অক্টোবর নিম্নচাপ গভীর থেকে অতি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এর কি কোনও প্রভাব কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গে?
- কলকাতায় কি ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব?
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আপাতত নেই বাংলায়। পুজোর সময় অষ্টমী পর্যন্ত কলকাতার আবহাওয়া থাকবে মূলত শুষ্ক। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ক্রমশ কমবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা আপাতত নেই। বৃহস্পতিবার দিন এবং রাতের তাপমাত্রা কিছুটা কমবে। মেঘমুক্ত থাকবে আকাশ। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও সামান্য থাকতে পারে।
মঙ্গলবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি কম এবং শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৩ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৫১ শতাংশ।
- কেমন থাকবে দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া?
বাতাসে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ ক্রমশ কমছে। জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ক্রমশ কমবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে। পুজোর সময় ঘূর্ণাবর্তের কি কোনও প্রভাব পড়বে দক্ষিণবঙ্গে? আবহাওয়াবিদরা স্বস্তির খবর শোনাচ্ছে। তাঁদের কথায়, অষ্টমীর দিন পর্যন্ত ঝরঝরে থাকবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির আবহাওয়া।
নবমীর দিন থেকে বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের পরোক্ষ প্রভাব বাংলায় পড়তে পারে। নবমী এবং দশমী খুব সামান্য বৃষ্টিপাত হতে পারে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে।
এরপর ধীরে ধীরে আবহাওয়ার পরিবর্তন শুরু হবে। দক্ষিণা বাতাসের জায়গায় উত্তুরে হাওয়া প্রভাব বিস্তার করতে চলেছে। বৃহস্পতিবার থেকে জেলাগুলির তাপমাত্রা অনেকাংশে কমতে পারে দিন এবং রাতে। পশ্চিমের জেলাগুলিতে হালকা শীত অনুভূত হতে চলেছে।
কেমন থাকবে উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া?
আগামী ৪৮ ঘণ্টার পর থেকে উত্তরবঙ্গে কমবে বৃষ্টির পরিমাণ। ক্রমশ বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। এরপর শুধুমাত্র দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বুধ এবং বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকা ছাড়া বাকি অংশে আবহাওয়া মূলত শুষ্ক থাকবে।
যাবতীয় লেটেস্ট আপডেট পেতে এই সময় ডিজিটাল-এর হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে যোগ দিন। ক্লিক করুন
