Birbhum News : ভ্রাতৃবধূর পঞ্চায়েত প্রধানের চেয়ার ‘দখল’ ভাসুরের! দিলীপের কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য – birbhum panchayat pradhan is in controversy her family member doing official work


অনুপস্থিত তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। আর সেই জন্যই প্রধানের চেয়ারে বসে পঞ্চায়েত চালাচ্ছেন ভাসুর । ঠিক এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল)। আর এই ঘটনায় তোলপাড় বীরভূম জেলার রাজনীতি। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি চরম রাজনৈতিক তরজা।

বীরভূম জেলার দুবরাজপুরের রাজনগর ব্লকের গাংমুড়ি জয়পুর পঞ্চায়েতে এই ঘটনা ঘটেছে। ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে পঞ্চায়েত প্রধানের চেয়ারে বসে স্বাক্ষর করছেন এবং পরামর্শ দিচ্ছেন দিলীপ সাহা নামে এক ব্যক্তি। কিন্তু তিনি বা তার স্ত্রী কেউই এই পঞ্চায়েতের প্রধান নন। তিনি গাংমুড়ি পঞ্চায়েতের প্রধান তাপসী মণ্ডলের ভাসুর বলে জানা গিয়েছে। প্রধানের জায়গায় তাঁর ভাসুর পঞ্চায়েত প্রধানের কাজ সামলানোয় তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

বিজেপির অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী কলকাতা পুলিশে কর্মরত। সেই কারণে তাপসী মণ্ডল তাঁর স্বামীর সঙ্গে কলকাতায় থাকেন। আর তাই তার হয়ে প্রধানের চেয়ারে বসে স্থানীয় মানুষদের পরামর্শ দেন ও স্বাক্ষর করেন এই দিলীপ। এমনকী অলিখিত প্রধান হিসেবে পঞ্চায়েতের যাবতীয় কাজ দিলীপই করেন বলে দাবি স্থানীয়দের। আর সেই নিয়ে বিতর্কের শুরু। কীভাবে পঞ্চায়েত প্রধানের বসে অন্য একজন তাঁর কাজ করতে পারেন, সেই নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রধানের চেয়ারে বসে অন্য কেউ পঞ্চায়েত চালাতে পারেন না। পঞ্চায়েত দফতরের উচিত জনগণের স্বার্থে আইনের স্বার্থে এই সমস্ত ঘটনাকে তদন্ত করা। যদি কেউ এরকম করে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়াও প্রয়োজন।’

Purba Medinipur News : পঞ্চায়েতে এবার টেন্ডার দুর্নীতির অভিযোগ, নন্দকুমারে আন্দোলনে নামলেন ঠিকাদাররা
ঘটনা প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপির অভিযোগ সত্যি নয়। প্রধান নিজেই সমস্ত কাজকর্ম করেন। দলীয় কাজের সঙ্গেও তিনি যুক্ত এবং সমাজসেবার কাজও করেন। পঞ্চায়েতের বিশেষ বিশেষ কাজেও তিনি উপস্থিত থাকেন। স্বামীর অসুস্থতার কারণে তিনি বাধ্য হয়ে কিছুদিনের জন্য কলকাতা গিয়েছেন। সেটা নিয়ে বিরোধী পক্ষ অপপ্রচার করছে। মানুষ সময়মতো কাজ পাচ্ছে সেটা সাধারণ মানুষকে জিজ্ঞাসা করলেই বোঝা যাবে। সত্যি এমন ঘটনা ঘটলে তা নিন্দনীয়। বিরোধীরা চাইলে নির্দিষ্ট জায়গায় এই নিয়ে অভিযোগ দায়েরও করতে পারে।’

এই সময় ডিজিটালের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল জয়েন করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *