সেই সঙ্গে পাসপোর্ট জালিয়াতির পিছনে কোনওভাবে কোনও জঙ্গি সংগঠনকে সাহায্য করার ছকও ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখছে সিবিআই। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, বিদেশের অনেক নাগরিক এ দেশের পরিচপত্র জোগাড় করেছেন অভিযুক্তদের সাহায্যে। এমনকী, অনেকে পাসপোর্ট জালিয়াতি করে বিদেশেও পাড়ি দিয়েছেন।
সেই তালিকায় দেশ বিরোধী কার্যকলাপে জড়িত কোনও সন্দেহভাজন রয়েছে কি না, তারও খোঁজ চলছে বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে।তদন্তকারীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, কলকাতা এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে এখনও পর্যন্ত নগদ প্রায় ৪০ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে। সেই সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিপুল পরিমাণে নথি।
তাতে মিলেছে ভোটার, আধার, রেশন এবং প্যান কার্ডও। সেগুলি সবই জালিয়াতি করে তৈরি করা হয়েছে বলে দাবি গোয়েন্দাদের। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এই চক্রটি দেশ জুড়েই সক্রিয় রয়েছে। জড়িত রয়েছেন কলকাতা এবং গ্যাংটকের পাসপোর্ট অফিসের বেশকিছু অফিসারও। এই মামলার এফআইআর-এ ২৪ জনের নাম রয়েছে।
তাঁদের এক এক করে জিজ্ঞাসাবাদের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নজরে রয়েছেন কলকাতার রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিস (আরপিও)-এর এক পদস্থ কর্তাও। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।
