সংগঠনের উপদেষ্টা মানিক ফকিরকে মারধরের অভিযোগও উঠেছে শান্তনু অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এ দিন শান্তনু ঠাকুর বাড়ি না থাকায় সংগঠনের সদস্যরা বাড়ির দেওয়ালে দাবিপত্র সাঁটিয়ে দিয়ে যান। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলে বনগাঁয় ভোটের বাজারে বাজিমাত করেছিল গেরুয়া শিবির। পদ্মের প্রতীকে সাংসদ হন শান্তনু ঠাকুর।
এরপর ঠাকুরবাড়িতে আড়াআড়ি বিভাজন আরও স্পষ্ট হয়। একদিকে তৃণমূল প্রভাবিত মতুয়ারা, অন্য দিকে বিজেপি। ও দিকে সংসদের দুই কক্ষেই নাগরিকত্ব বিল পাশ করিয়ে নেয় কেন্দ্র। আইনও হয়। কিন্তু চার বছর কেটে গেলেও নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করতে পারেনি কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। মাঝের সময়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও কেন্দ্র ও রাজ্যের একাধিক বিজেপির নেতা-মন্ত্রী ঠাকুরবাড়িতে এসেছেন, প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কিন্তু আইন কার্যকর হয়নি। অন্য দিকে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার বলে এসেছেন মতুয়ারা এদেশেরই নাগরিক। নতুন করে তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। এই পরিস্থিতিতে এ দিন ঠাকুরবাড়িতে নিঃশর্ত নাগরিকত্বের দাবি জানালেন মতুয়া, নমঃশূদ্র, উদ্বাস্তুদের সংগঠন ইউনাইটেড ফোরাম অফ ভোট ফর ইন্ডিয়ার সদস্যরা।
সংগঠনের উপদেষ্টা মানিক ফকির বলেন, ‘শান্তনু ঠাকুর নমঃশূদ্র, মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ। আমরা তাঁর বিরুদ্ধে নই। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। আমরা চাই মতুয়া, নমঃশূদ্র, উদ্বাস্তুদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দিতে হবে।’
কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘আজ আমি বাড়ি ছিলাম না। কারা কেন এসেছিলেন জানি না। এটুকু বলতে পারি, তবে যাঁরা ধর্মীয় কারণে বাধ্য হয়ে এদেশে এসেছেন, তাঁদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। সেক্ষেত্রে শর্ত তো থাকছেই। তা হলে নিঃশর্তের দাবি কী ভাবে আসছে?’
বনগাঁর প্রাক্তন সাংসদ তথা তৃণমূল প্রভাবিত অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি মমতাবালা ঠাকুর বলেন, ‘বিজেপি লোকসভায় প্রচারে অনেক প্রতিশ্রুতিই দিয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি পালন করেনি। মতুয়াদের বিভ্রান্ত করেছে বিজেপি।’