উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া পিছিয়ে যাওয়ায় হতাশ চাকরিপ্রার্থীরা। স্কুল সার্ভিস কমিশন ২০২১ সালে যে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করেছিল তাতে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। কলকাতা হাইকোর্টে ওঠে মামলা। এদিকে উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় এসএসসি। এই বছরই ১৪০০০ শূন্যপদে নিয়োগ করতে চেয়ে আদালতে দ্বারস্থ হয়েছিল কমিশন। ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য আবেদন করেছিল স্কুল সার্ভিস কমিশন।
আর এই মামলার প্রক্ষিতেই সংশ্লিষ্ট নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। উল্লেখ্য, রাজ্যের শূন্যপদগুলিতে যাতে অবিলম্বে নিয়োগ করা হয় সেই জন্য তৎপর রাজ্য। ইতিমধ্যেই সেই লক্ষ্যে পদক্ষেপও করা হচ্ছে। এরই মধ্যে উচ্চ প্রাথমিক নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের এই নির্দেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে উচ্চ প্রাথমিকে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ২০১৬ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর ১৪ হাজার ৩৩৯ পদের জন্য ১৩ হাজার ৩৩৮ জনের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। ১১টির বেশি বিষয়ের জন্য আলাদা আলাদা মেধাতালিকা প্রকাশ করা হয়। এরপরেই আদালতের নিয়োগের অনুমতির জন্য অপেক্ষা করা শুরু হয়।
প্রসঙ্গত, বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল উচ্চ প্রাথমিকে ঘোষণা করা শূন্যপদের সংখ্যা ছিল ১৪ হাজারের বেশি। কিন্তু, প্যানেলে নাম এসেছিল ১৩ হাজারের। একাধিক ক্যাটাগরিতে প্যানেল ছিল। এই নির্দেশের ফলে নিয়োগ সংক্রান্ত জট অনেকটাই কাটল বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে পুজোর আগেই কর্মসংস্থান নিয়ে বড় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে। নিয়োগ করা হতে পারে ১২ হাজার কনস্টেবল। তাঁদের মধ্যে ৮৪০০ পুরুষ এবং ৩৬০০ মহিলা। সম্প্রতি রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাব অনুমতি পেয়েছে। এদিকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলায় কনস্টেবল পদে শূন্যপদের সংখ্যা ছিল ৩৫০০০, সূত্রের খবর এমনটাই।
গত বৃহস্পতিবার কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে বসেছিল মন্ত্রিসভার বৈঠক। আর সেখানেই এই প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের সব খবর পেতে এই সময় ডিজিটালের হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে যোগ দিন। ক্লিক করুন